স্পোর্টস ডেস্ক : হিথ স্টিক। জিম্বাবুয়ের এই সাবেক পেসার বাংলাদেশের অতি চেনা মুখ। জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলোয়াড়-কোচ দুই ভূমিকাতেই এসেছেন বাংলাদেশে। কিন্তু তারপরও এই চেনা মানুষটি আবার বাংলাদেশে এসেছেন। তবে এবার নতুন পরিচয়ে। এখন তার পরিচয় তিনি মাশরাফি-রুবেল-জিয়াউর-শফিউলদের বোলিং কোচ। মুশফিকুর রহীমদের নতুন যে বিদেশি কোচিং স্টাফ নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যেখানে প্রধান কোচ লঙ্কান হাথুরুসিংহে।

সেখানে বোলিং কোচ স্ট্রিক। সোমবার রাতে বাংলাদেশে আসার পর মঙ্গলবার সকালেই চলে আসেন হোম অব ক্রিকেটে। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে অনুশীলনরত টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহীমসহ দলের অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গেও। এরপর নির্বাচক কমিটির প্রধান ফারুক আহমেদ ও সদস্য হাবিবুল বাশারের সঙ্গে কথা বলেন প্রায় ৩০ মিনিটের মতো। তারপর চলে আসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর সুজনের রুমে। সেখানে সারেন আনুষ্ঠানিকতা। দুই বছরের জন্য স্বাক্ষর করেন চুক্তিতে। তারপরই কথা বলেন অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে।

বাংলাদেশে যখনই এসেছেন বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছেন ক্রিকেটের উত্তাপ। এবার নতুন ভূমিকায়ও এসে টের পেয়েছেন মিডিয়ার আগ্রহ। এতে অবশ্য তিনি মোটেই অবাক হননি। এ রকমই তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন। তাকে আনাই হয়েছে পেসারদের প্রভূত উন্নতি করার জন্য। এখানে সফল হওয়াটা তার জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করছেন তিনি। এর কারণ হিসেবে মনে করেন উপমহাদেশের উইকেট। এখানে যে উইকেটে খেলা হয়, তা দেশের বাইরে গিয়ে পাওয়া যায় না। আর এতে করে পেসারদের পক্ষে ভালো করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে তিনি টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশে এসে উইকেটের অনেক পরিবর্তন দেখেছেন। তিনি সেরকম উইকেটই আশা করছেন পাবেন। এতে করে পেসারদের পক্ষে ভালো করা সম্ভব বলে মনে করেন। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ মানেই স্পিননির্ভর। স্ট্রিক এই স্পিননির্ভরতা কমাতে চান। তিনি বলেনে, ‘আমি দলের স্পিননির্ভরতা কমাতে চাই।’

হিথ স্ট্রিক আট থেকে ১০ জনকে নিয়ে কাজ করবেন। যাদের নিয়ে কাজ করবেন তাদের কারো কারো সম্বন্ধে তার আগে থেকে জানা থাকলেও অনেকের সম্বন্ধে তার ধারণা নেই। তিনি তাদের সম্বন্ধেও ভালোভাবে জেনে নিতে চান। তিনি রাতারাতি উন্নতির পক্ষে নন। তিনি বলেন, ‘উন্নতির ব্যাপারটা সময়সাপেক্ষ। বিশ্বকাপের আগেই আমি কিছুটা উন্নতি দেখাতে পারব বোলারদের মাঝে।’ জাতীয় দলের পাশাপাশি তিনি তরুণ প্রতিভা অন্বেষণেও কাজ করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি তরুণদের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে কোচ হাথুরুসিংহের সঙ্গে কাজ করতে হবে। নতুন পেসার বের করতে হবে। বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের চেষ্টা করব বিদেশি পাঠানোর।’ এতে করে তিনি মনে করেন তরুণ বোলাররা আগে থেকেই বাইরের কন্ডিশনের সঙ্গে নিজিদের পরিচিত করে তুলতে পারবে।’ দলের প্রধান কোচ হাথুরুসিং সম্বন্ধে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের অধীনে কাজ করব। তার আগে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে আমাদের কোচিং দর্শন এক। তিনি এখানে আসার পর আমি তার সঙ্গে বসব। আশা করি আমার দুজনে মিলে ভালো করতে পারব। শুধু খেলোয়াড় নয়, দলকে ভালো করার জন্য কোচদেরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

(ওএস/এইচআর/জুন ০৪, ২০১৪)