নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় চুরির প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক মাসে ৫ পরিবারের ৮টি গরু চুরি গেছে। দুটি কাপড়ের দোকানে সংঘটিত হয়েছে দুর্ধর্ষ চুরি। স্থানীয়দের দাবি, চুরির এসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ভটভটি ও পিকআপ ভ্যান। এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।  ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা গেছে. বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামে গোয়ালঘরের তালা ভেঙ্গে সেকুর আলির ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরদল।

গৃহকর্তা সেকুর আলি জানান, রাতে গোয়ালঘর তালাবদ্ধ করে তিনি শুয়ে পড়েন। ভোররাতে গিয়ে দেখেন গোয়ালঘরের তালা ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে। চোরেরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মূল্যের তার ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে।

একই কায়দায় গত ১৩ মার্চ রাতে খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামের নায়েব আলীর বাড়ি থেকে দুইটি ও ২০ মার্চ রাতে খুদিয়াডাঙ্গা গ্রামের নুরুর একটি বকনা গরু চুরি হয়। এছাড়া ছোটবেলালদহ গ্রামের নাসির উদ্দিনের একটি বকনা গরু চুরি যায় মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে। এছাড়া শামুকখোল গ্রামের প্রতাপের বাড়ি থেকে চুরি যায় দুইটি ও নিতাইয়ের বাড়ি থেকে একটি গরু চুরি যায়। এসব ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। শুধুমাত্র জিডি করেই দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ।

এদিকে গত ২৬ মার্চ দিনগত রাতে উপজেলার বুড়িদহ বাজারে সার্টারের তালা কেটে দুটি কাপড়ের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। চোরেরা বিপ্লব কুমার প্রামানিকের দোকান থেকে আড়াই লক্ষাধিক ও নকুল চন্দ্র মজুমদারের দোকানের লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। বাজারের নৈশ্যপ্রহরী থাকার পরও চুরির এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত রহস্য উদঘাটন বা লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনার পর বাজারের নৈশ্যপ্রহরী বেলাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শাখা রাস্তাগুলো দিয়ে সারারাত ভটভটি ও পিকআপ ভ্যান চলাচল করে। রাস্তারগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অনেক দোকান। এসব বাজারে নৈশ্যপ্রহরী থাকলেও থানা পুলিশের নির্দেশনা না থাকায় রাতে চলাচলকৃত যানবাহন আটকাতে পারছে না তারা। অবাধে চলাচল করায় চুরির কাজে এসব যানবাহন ব্যবহার করা হচ্ছে। লুন্ঠিত মালামাল নিয়ে নির্বিগ্নে সটকে পড়ছে চোরেরদল। রাতে এসব যানবাহনের চলাচল বন্ধ করা হলে চুরির প্রবণতা অনেকাংশে কমবে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ি মহল ও স্থানীয়রা।

এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, চুরির প্রত্যেকটি ঘটনার তদন্ত চলছে। এর সঙ্গে জড়িতদের সনাক্তসহ অচিরেই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।



(বিএম/এস/এপ্রিল০১,২০১৬)