স্টাফ রিপোর্টার :ছেলেটির চোখে-মুখে রং খেলা করে। কথায় উচ্ছ্বলতা। সেই উচ্ছ্বলতা ছড়িয়ে দুপুরের সোনা রোদ মুখে লেগে আছে। কথা হচ্ছিল  ইনষ্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির ডেন্টিষ্টি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রমিত বনিকের সঙ্গে। প্রমিত কিশোরগঞ্জের ছেলে। তাঁর সব কাজের অনুপ্রেরণা বাবা নিতাই পদ বণিক আর মা কানন রানী বণিক আর রবীন্দ্রনাথ তো রয়েছেনই তাঁর চেতনায়। খেলাধুলার বাইরে আবৃত্তিতে আছে তাঁর ব্যাপক আগ্রহ। রবীন্দ্রনাথের কৃষ্ণকলি তাঁর প্রিয় কবিতার অন্যতম।


ছোটবেলা থেকেই কবিতার প্রতি ভেতর থেকে একটা টান অনুভব করতেন। সেই থেকে শুরু। মা-বাবার উৎসাহের কমতি নেই। স্কুল, কলেজে সব সময় পুরস্কার পেয়েছেন, থেকেছেন প্রথম সারিতে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিতে ছেলেদের বিভাগে প্রথম তিনি।

প্রমিত সম্পর্কে ইনষ্টিটিউটের ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর রনি আহমেদ জানালেন, ‘কবিতা নিয়ে এত আগ্রহ অন্য কোনো ছেলের ভেতর আমি দেখিনি। সব ইভেন্টেই তার আগ্রহ প্রবল। যেকোনো টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো খুব সহজেই আয়ত্ত করে নিতে পারে। প্রমিত বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছি। ছোটবেলার কথা বলতে গেলে অনেক । ছোটবেলা থেকে আমার মা বাবা আমার জন্যে অনেক কষ্ট করেছেন। আমার বাবা ,মা ও ভাইয়েরা আমাকে অনেক কষ্ট করে লেখা পড়া করিয়েছে । চোখে আজ আমার অনেক স্বপ্ন। ভবিষ্যৎতে কাজ করব দেশ ও মানুষের কল্যানে। উচ্চতর পড়াশোনা হিসেবে এম.এস.সি ইন ডেন্টিষ্ট্রি ও এমপিএইচ করার পাশাপাশি দন্তরোগ বিষয়ের অর্থোডনটিক্স ও প্রস্তোডনটিক্সের প্রতি ও রয়েছে আমার গভীর আগ্রহ।



(ওএস/এস/এপ্রলি০১,২০১৬)