বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়া জেলার সোনতলা উপজেলায় ইউপি নির্বাচনের দু’দিন পর বিজয়ী ও পরাজিত ইউপি সদস্য দুই গ্রুপের সহিংসতার ঘটনায় সংঘর্ষস্থলে ১৪৪ ধার‍া জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।  

শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার বেলা ২টা থেকে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়ধাপে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে জয়ী হন পাঠানপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ। পরাজিত হন অপর প্রার্থী সেলিম। এরপর থেকে উভয়পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা চলে আসছিলো।

‍এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেলে দুই পক্ষের লোকজনের মাধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা পাঠানপাড়া পাল বাইশা বিলের কাঁচা ধান কাটা শুরু করে। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। এ নিয়ে উভয়পক্ষের সমর্থকরা লাঠিসোঠাসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্রসহ তুম‍ূল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ থেমে থেমে শর্টগানের গুলি ছুঁড়তে থাকে। তাতেও কাজ না হলে জেলা থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোতালেব বলেন, সংঘর্ষ থামাতে ২৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুর রহমান বলেন, পাঠানপাড়া পাল বাইশা বিলটি খাস। বিলের জমি নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগেও বিলের ধানকাটা নিয়ে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনা ঘটেছে।

তাই সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শনিবার বেলা ২টা থেকে পরদিন রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত পাঠানপাড়া গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০২, ২০১৬)