বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের  আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী মোঃ নজব উদ্দিন।

৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সংখ্যালঘু অধ্যূষিত দাসেরবাজার ইউনিয়ন নির্বাচনে দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে প্রভাবিত করে জাল ভোট মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী কমর উদ্দিনকে বিজয়ী করার অভিযোগ আনা হয় এ সংবাদ সম্মেলনে।

শনিবার দুপুরে বড়লেখা পৌরসভা মিলনাতয়নে লিখিত বক্তব্যে মোঃ নজব উদ্দিন জানান, বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী কমর উদ্দিন কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে সংশ্লিষ্ট রিটার্ণিং অফিসার নির্বাচনের আগেরদিন দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রদবদল করেন। উক্ত কেন্দ্রে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অরবিন্দু কর্মকারকে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দিলেও বিএনপির প্রার্থী কমর উদ্দিনের যোগসাজশে আগের দিন সংশ্লিষ্ট রিটার্ণিং অফিসার বড়লেখা মোহাম্মদীয়া মাদ্রাসার আরবী প্রভ্ষাক আব্দুল কাদিরকে প্রিসাইডিং নিয়োগ করেন। আব্দুল কাদির জামায়েত ইসলামীর একজন সক্রিয কর্মী। জামায়াতের সক্রিয় এক কর্মীকে প্রিসাইডিং অফিসার নিযুক্ত করে জাল ভোটের মহোৎসব চালিয়ে তার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, নির্বাচনের দিন ঐ কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের মোঃ কমর উদ্দিনের লোকজন প্রিসাইডিং অফিসারের যোগসাজশে ভিতরে শুরু করে জাল ভোটের মহাউৎসব আর কেন্দ্রের বাহিরে বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের মোঃ কমর উদ্দিনের লোকজন ও বিএনপি-জামাত শিবিরের সন্ত্রাসীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদের প্রানণাশের হুমকী দিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসতে বাঁধা প্রদান করায় অনেকেই ভোট না দিয়ে চলে যান।

উক্ত কেন্দ্রে ২৫১১ ভোটার থাকলেও জালভোট মেরে ও ১৮৩৯ ভোট কাষ্ট হয়েছে। আমার নির্বাচনী এজেন্ট জাল ভোট সহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে অবহিত করলেও কর্তব্যরত প্রিসাইডিং অফিসার বিষয়টি আমলে নেননি। ভোটগ্রহনের সময় মোঃ কমর উদ্দিন ও তার সমর্র্থিত বিএনপি-জামাত শিবিরের সন্ত্রাসীরদের হাতে আমার সমর্থকরা বেশ কয়েকবার শারীরীকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন।

আমার নির্বাচনী এজেন্ট উক্ত কেন্দ্রে ভোট গ্রহন বন্ধের দাবী জানালেও প্রিসাইডিং অফিসার ভোট গ্রহন বন্ধ করেননি। বরং প্রিসাইডিং অফিসার আমার এজেন্ট অজয় ভুষন দাসকে ভোট কেন্দ্র থেকে বাহির করে দেন। গণনার সময় আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করা দেয়া হয়। ফলাফল সীটে এজেন্টের স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। এসব নানা অনিয়ম, আর ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলে তিনি দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান।

আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ নজব উদ্দিনের নির্বাচনী এজেন্ট সহকারী অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস অভিযোগ করেন ,এ কেন্দ্রে ছয়টি বুথে ভোট গ্রহনের কথা থাকলেও অসৎ উদ্দেশ্যে প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল কাদির নৌকার ভোটাররা যাতে স্বাচ্ছন্দে ভোট দিতে না পারেন সেজন্য মাত্র চারটি বুথে ভোট গ্রহন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দাসেরবাজার ইউপি আ’লীগের সভাপতি মুছব্বির আলী, সহসভাপতি ঈরেশ চক্রবর্তী, উপজেলা আ’লীগ নেতা ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক স্বপন চক্রবর্তী, দিবারঞ্জন দাস, নুরুল হক, ফজলুল রহমান, আবু বক্কর, মতিলাল চক্রবর্তী, মুক্তিযোদ্ধা ভুবন দাস, শৈলেন্দ্র দাস প্রমুখ।

(এলএস/এএস/এপ্রিল ০২, ২০১৬)