নিউজ ডেস্ক :পৃথিবীর মতো দেখতে কিন্তু পৃথিবীর থেকে কয়েকশো গুন বড় গ্রহ আবিস্কার করলেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা।

তাঁদের চিন্তাভাবনার উর্দ্ধে এই গ্রহের আয়তন। নয়ের দশকে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা মনে করতেন সৌর জগতের বাইরে অন্য গ্রহদের জগত আমাদের সৌর পরিবারের মতো সুন্দর এবং পরিচিত।

কিন্তু গবেষণা যত এগিয়েছে, বিজ্ঞানীদের ভুল ভেঙেছে। ১৯৯৫ তে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন ৫১ পিগাসি বি (51 Pegasi b)। বৃহস্পতির মতো দেখতে কিন্তু এই বিশালাকার গ্যাসীয় গ্রহের তাপমাত্রা বৃহস্পতির থেকে কয়েকশো গুন বেশি।

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেন “মিনি নেপচুন”। পৃথিবীর থেকে খুব একটা বড় নয়। কিন্তু এই গ্রহগুলি যতটাই কঠিন জলের সম্ভবনা ততটাই বেশি। এমন রহস্যময় মহাবিশ্বে মাঝের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা ধন্দে পড়ে যান। কিন্তু হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, তাঁরা এমন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন এই মহাবিশ্বের সবথেকে বড় গ্রহ। পরিভাষায় যাকে বলে মেগা আর্থ (Mega Earth)। ওজনে পৃথিবীর থেকে প্রায় ১৭ গুন ভারী।

এই গ্রহ কেপলার ১০ সি (টেন সি) নামে পরিচিত। কিন্তু হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোর্তিবিজ্ঞানী ডিমিটার স্যাসোলভ এই গ্রহের আয়তন নিয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, “এটি হল পৃথিবীর গডজিলা”। পৃথিবী থেকে ৫৬০ আলোকবর্ষ দূরে এই গ্রহের অবস্থান। আমাদের গ্রহের মতো দেখতে হলেও প্রাণের কোনও অস্তিত্ব নেই। তবে ভবিষ্যতে জলের সন্ধান মিলতেও পারে কারণ অক্সিজেনের উপস্থিতি রয়েছে। কেপলার ১০ সি-র মধ্যাকর্ষণ শক্তি এতই বেশি, বিশাল তাপ ও চাপে সবকিছু কঠিনে পরিণত হয়েছে। তবে সেখানে কেপলার ১০ সি একাই নেই, রয়েছে সহোদর কেপলার ১০ বি। ২০১১ তে আবিষ্কার হয়। পৃথিবীর চেয়ে প্রায় তিন গুন বড় এই গ্রহ।

(ওএস/এটিআর/জুন ০৪, ২০১৪)