নিউজ ডেস্ক : অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবারে যে কারো স্বাস্থ্যই নষ্ট হয়ে যায়। আর এই খাবারের বাজে ফলাফলগুলো দেখা দিতে থাকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে। বিশেষ করে ৩০ এর পর থেকেই শরীরে নানা ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয়।

বেড়ে যায় অযাচিত মেদ, বেশ মোটা হয়ে যেতে থাকে শরীর। এ কারণে আপনি যদি ৪০ এর পরও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে চান এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকতে চান তাহলে ব্যায়ামের সময় মনে রাখুন কিছু টিপস।

১. আপনার যদি সকালে উঠতে খুব কষ্ট হয় তাহলে সকালে ওঠার দরকার নেই। আপনি আপনার সময়মত সকালে উঠে কিছু ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। ঘুম থেকে উঠেই আধা ঘন্টার কিছু শারীরিক ব্যায়াম আপনার দেহকে ফিট এবং সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।

২. এমন কিছু স্বাভাবিক ব্যায়াম করুন যেটি আপনার হৃৎ-সংক্রান্ত অতিরিক্ত চর্বি নির্মূল করবে এবং আপনার বিপাকে সহায়তা করবে।

৩. সকালে উঠে আধা ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনি যদি একা যেতে আগ্রহবোধ না করেন তাহলে একজন বা ২/৩ জন বন্ধু তৈরি করুন যাদের সাথে আপনি প্রতিদিন সকালে হাঁটতে যেতে পারেন।

৪. কোনো জটিল শারীরিক ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই সবসময় কিছুটা ওয়ার্ম আপ করে নেবেন যেমনটা যেকোনো খেলার আগে করা হয়ে থাকে। এতে করে ব্যায়াম করার সময়ে কোনো ধরনের হাত পায়ে টান লাগবে না।

৫. মর্নিং ওয়াকে যাওয়ার আগে অবশ্যই এক বোতল পানি সাথে রাখবেন। কেননা মর্নিং ওয়াকে আপনার একটু পরপর পানি পিপাসা লাগবে। এ কারণে শরীর থেকে যে পানি বের হবে সেই পরিমাণ পানি পূরণে একটু পরপর পানি খাবেন।

৬. খালি পেটে কখনই ব্যায়াম করতে যাবেন না। এতে করে লো প্রেসার সংক্রান্ত আরও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ কারণে ব্যায়াম করতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ফ্যাট ছাড়া বিস্কিট বা আপেল খেতে পারেন।

৭. সকালে খাবারের পরপর বা রাতে খাবারের ঠিক পরপর কখনই হাঁটাহাঁটি করবেন না। ১৫-২০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে তারপরে হাঁটুন।

৮. লিফটে ওঠার পরিপর্তে সিঁড়ি বেয়ে বাসায় বা অফিসে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনি যদি দিনে ৫ বার ৬ তলাতে সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করেন তাহলে এটি ৩০ মিনিট হাঁটার কাজ করে দেবে।

(ওএস/এটিআর/জুন ০৪, ২০১৪)