সিলেট প্রতিনিধি :প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে দেশে চলছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি-না এ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ মহলে আলোচনাও চলছে। কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা রয়েছে দুশ্চিন্তায়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় বিএনপির প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। তাছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা হয়েছে। তাই বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর চিন্তা করছে। এ লক্ষ্যে গত রবিবার রাতে বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে দলীয় নেতারা নির্বাচন থেকে সরে আসার জন্য নেত্রীকে পরামর্শ দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪র্থ ধাপে নির্বাচনে সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই ৭ ইউনিয়নে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। কিন্তু এদিক দিয়ে বিএনপি রয়েছে অনেকটা পিছিয়ে। এখন পর্যন্ত দলের প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের আবেদন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগ্রহী চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদের নিকট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী- উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ২৪ জন প্রার্থী আবেদন ফরম জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি ইউনিয়নে ১ জন, কুচাইয়ে ১ জন, সিলামে ৫ জন, লালাবাজারে ৪ জন, জালালপুরে ৪ জন, মোগলাবাজারে ৫ জন ও দাউদপুরে ৪ জন প্রার্থী আবেদন ফরম জমা দেন।

এ ব্যাপারে আলাপকালে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বলেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ৭ ইউনিয়নের প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে প্রাথী হতে আগ্রহী ২৪ জন তৃণমূল নেতা আবেদন ফরম জমা দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে শামীম বলেন, বিএনপি তৃতীয় ও চতুর্থ দফা ইউপি নির্বাচন বয়কটও করতে পারে। তাই নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে যদি নির্বাচন বয়কটের ব্যাপারে নিদের্শনা আসে, তবে সিলেটেও সে নির্দেশনা পালন করা হবে।




(ইউডি/এস/এপ্রিল০৫,২০১৬)