বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের রামপাল ও মংলায় সুন্দরবনের পাশে দুটি কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে সরকার সরে না আসলে দেশ ও জনগনের স্বার্থে সুন্দরবন ধ্বংসের এ কর্মসূচী বাতিলের জন্য আবারও লংমার্চ করা হবে।

বুধবার দুপুরে বাগেরহাট নতুন কোট চত্বরের সামনে অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে প্রধান অতিথির বক্ততায় তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ একথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, কোন অবস্থাতেই সরকারকে আমাদের গর্ব বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবন ও পরিবেশ ধ্বংসকারী দুটি কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। বর্তমান সরকারের মিত্র ভারতের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে সুন্দরবন ধ্বংসের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। কোন অবস্থাতেই সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে দেয়া হবে না। দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দরবন বিনাশীএই প্রকল্প বন্ধ করা হবে।

অবস্থায় কর্মসূচীতে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তেলগ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ড: আনু মুহাম্মদ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য সরদার রুহীন হোসেন প্রিন্স, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, গন সংহতি আন্দোলনের আহবায়ক জোনায়েদ সাকি, ওয়ার্কাস পাটির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুর রহমান, রনজিৎ চট্রোপাধ্যায়,নুর আলম, সুশান্ত দাস , মুনসুর ডাকুয়া প্রমুখ।এরআগে সকালে বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্লাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে নেতাকর্মীরা কোট চত্তরের সামনে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটির ব্যানারে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচীতে যোগ দেয়।

তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডঃ আনু মুহাম্মদ বলেন, বিদ্যুতের বিকল্প আছে কিন্ত সুন্দরবনের বিকল্প নাই। এখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে ৮০ লাখ মানুষ ঝুকির মধ্যে পড়বে।

প্রাকৃতিক বির্পযয় দেখা দেবে কৃষি জমি, থাকবে না খাবার পানি থাকবে না, বসবাসের পরিবেশ । তিনি আরও বলেন, সরকার সুন্দরবনের কাছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরো কাছে মংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অরিয়ন গ্র“পকে আরো একটি ৬৩০ মেগাওয়ার্ডের কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যু কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে।

এরমধ্যে ওই অরিয়ন গ্র“প উচ্চ মুল্যে কৃষি জমি ক্রয় করে সেখানে বালু ভরাটের কাজ করছে। এ অবস্থায় সুন্দরবন ধ্বংস ও এ অঞ্চলের সাধারন মানুষের ক্ষতির কথা ভেবে এ প্রকল্প বাতিলের জন্য কঠোর আন্দোলন করা হবে।

ভারত তাঁদের নিজস্ব সুবিধার্থে এবং সহজে জাহাজ যোগে কয়লা পরিবহন করার জন্য সুন্দরবনের ওই এলাকা বেঁছে নিয়েছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী ভারত অনেক বেশী লাভবান হবে। আর বিপর্যয় ঘটবে বাংলাদেশর। ধ্বংস হবে সুন্দরবন এবং আশপাশের মানুষ চরম ক্ষতির মুখে পড়বে। কোন অবস্থাতেই সরকারকে সুন্দরবন ও পরিবেশ ধ্বংসকারী ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।

(একে/এটিআর/জুন ০৪, ২০১৪)