মেধাবী ছাত্রী রহিমা বাঁচতে চায়
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : মেধাবী ছাত্রী রহিমা আক্তার আকস্মিকভাবে দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় শষ্যাশয়ী রয়েছেন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, রহিমাকে সম্পূর্ণ সুস্থ্য করতে হলে ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ১২টি ইনজেকশন পুশ করতে হবে। কিন্তু এতো টাকা জোগাড় করা তার অসহায় পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এমনিতেই চিকিৎসা করাতে গিয়ে রহিমার দিনমজুর পিতা দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। তাই তিনি তার মেধাবী ছাত্রী মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ্য করতে সমাজের মহানুভব ব্যক্তি, প্রবাসী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য হাত পেতেছেন। বরিশাল নার্সিং কলেজের বিএসসি ইন নাসিং কোর্সের মেধাবী ছাত্রী রহিমা আক্তারের (২১) বাড়ি জেলার গৌরনদী উপজেলার কাছেমাবাদ গ্রামে। সে ওই গ্রামের দিনমজুর আবুল কালাম খানের কন্যা।
একার আয়েই স্ত্রী, চার কন্যা ও এক পুত্রকে নিয়ে চলছিলো স্থানীয় মাহিলাড়া বাজারের কাঁচা মালের আড়তের শ্রমিক দিনমজুর আবুল কালাম খানের সংসার। নিজে অক্ষর জ্ঞানহীন থাকলেও কালাম খান স্বপ্ন দেখেছিলেন, ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে। ছেলে সবার ছোট। সব মেয়েরাই পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছিলো। এরমধ্যে রহিমা আক্তার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে নিজের অধির আগ্রহে ২০১৩-২০১৪ সেশনে রহিমা বরিশাল নার্সিং কলেজে বিএসসি ইন নাসিং কোর্সে ভর্তি হয়।
আবুল কালাম খান বলেন, গত ৩মার্চ তার মেয়ে রহিমান শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হয়। এরপর রাতে তার হাত ও পা অবশ হয়ে যায়। পরেরদিন সকালে প্রথমে গৌরনদী ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য রহিমাকে ঢাকার শেরে বাংলা নগর এলাকার ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডাঃ দ্বীন মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করানোর পর রহিমার জিবিএস রোগ ধরা পরে। পরবর্তীতে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, রহিমাকে পুরোপুরি সুস্থ্য করতে হলে উন্নতমানের (প্রতিটি ৮০ হাজার টাকা মূল্যের) ১২টি ইনজেকশন পুশসহ শরীরের পুরো রক্ত পরিবর্তন করতে হবে।
কান্নাজড়িতকন্ঠে কালাম খান বলেন, দীর্ঘ এক মাসের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি ধারদেনা করে এখন দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় অর্থাভাবে মেয়েকে সুস্থ্য করতে ব্যয়বহুল এ চিকিৎসা করানো তার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় শষ্যাসায়ী রয়েছেন মেধাবী ছাত্রী রহিমা আক্তার। দিনমজুর আবুল কালাম খান তার মেধাবী ছাত্রী মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ্য করতে সমাজের মহানুভব ব্যক্তি, প্রবাসী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য হাত পেতেছেন। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা: মোঃ আবুল কালাম খান, সঞ্চয়ী হিসাব নং-০২০০০০৩৭৯৮২৯৭, অগ্রণী ব্যাংক লিঃ, বাটাজোর শাখা, গৌরনদী, বরিশাল। সরাসরি যোগাযোগ: (বিকাশ নাম্বার) ০১৭৭১-৪৮০৮৭২।
(টিবি/এএস/এপ্রিল ০৮, ২০১৬)