নওগাঁ প্রতিনিধি : মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাতে নওগাঁর পত্মীতলায় শশুর বাড়ির শয়ন ঘরে স্ত্রীকে জবাই করে পালিয়ে গেছে এক পাষন্ড স্বামী।

ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ছোট বিদিরপুর গ্রামে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, বিগত ২০০০ সালে ওই গ্রামের মফিজ উদ্দীনের কন্যা আসমা খাতুনের সঙ্গে পার্শবর্তী ধামইরহাট উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আহম্মদ আলীর পুত্র আতিকুল ওরফে সামেদুলের বিয়ে হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের ঘরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। স্বামী সবসময় নেশাপান করায় প্রায় ৫/৬ বছর যাবত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের কারণে আসমা পিতার বাড়িতে অবস্থান করছিল। এরই মধ্যে কিছুদিন পূর্ব হতে স্বামী আতিকুল ওরফে সামেদুল তার শশুর বাড়িতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে।

এরই জের ধরে ১জুন পাষন্ড স্বামী পুনরায় তার শশুর বাড়িতে এসে কয়েক দিন অবস্থান করে। ঘটনার রাতে তাদের শয়ন ঘরে সকলের অজান্তে গরু জবাই করা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে জবাই করে ছুরিটি খাটের নিচে রেখে রাতেই পালিয়ে যায়। সকালে বাড়ির দরজা খোলা দেখে আসমার ভাই শরিফুল তার বোনের ঘরে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বোনকে খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যায়।

পরে থানায় এ সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে পত্মীতলা থানায় আসমার পিতা মফিজ উদ্দীন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৩, তারিখ ০৪/০৬/২০১৪। পত্মীতলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ ইকবাল হোসেন এবং ওসি আব্দুর রফিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছে।

(বিএম/এটিআর/জুন ০৪, ২০১৪)