মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের ডাসার থানার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পান্তাপাড়া গ্রামে সম্পত্তির লোভে হাসিনা বেগম নামে এক মহিলা তার সৎ ছেলে তারেককে ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ডাসার থানায় মামলা হলে তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা এক আসামী পুলিশের কাছে গুম ও হত্যার স্বীকারক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।

বুধবার দুপুরে মাদারীপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ও মামলার নথিসুত্রে জানা গেছে, ডাসার থানার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পান্তাপাড়া গ্রামের ইমদাদ খান ১৪ বছর আগে মারা যান। তিনি দুই স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে রেখে যান। ব্যবসার সুবাদে খুলনাতে ছিলেন। সেখানে তিনি প্রচুর পরিমাণে সম্পত্তি রেখে যান। এই সম্পত্তি বড় স্ত্রী হাসিনা বেগম ও তার সন্তানরা ভোগ করতো।

অপর দিকে গ্রামের বাড়ি ডাসারের পান্তাপাড়ায় থাকতেন ছোট স্ত্রী পারভীন বেগম। হাসিনা সৎ ছেলেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ডেকে নেয় ঢাকার মোহাম্মপুরে ভাড়া বাসায়। এরপর থেকে তারেক নিখোজ। এর পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তারেকের বিষয় জানতে ফোন করলে হাসিনা অসংলগ্ন কথা বার্তা বলে। এই ঘটনায় তারেকের চাচা জামাল খান বাদি হয়ে ডাসার থানায় একটি অপহরণ মামলা করে।

এই মামলায় আব্দুস সামাদ ওরফে পাগলাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা পাগলা পুলিশের কাছে স্বীকারক্তিমুলক জবানবন্দিতে জানান, তারেককে চট্টগ্রাম নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার মুল আসামী হাসিনা বেগম ও মারজিনা বেগমকে গ্রেফতার করলে হত্যা ও গুমের আসল রহস্য বের হবে বলে জানান মামলার বাদি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদি জামাল খানসহ তার আত্মীয় স্বজনরা।

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন বলেন, এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমরা প্রাথমিক তদন্ত ধারণা করছি হাসিনা ও মারজিনাই সম্পত্তির লোভে তারেককে খুন করেছে। তবে হাসিনা ও মারজিনাকে গ্রেফতার করতে পারলে আসল রহস্য বের করা যাবে।

(এএসএ/অ/জুন ০৪, ২০১৪)