সিলেট প্রতিনিধি : মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা একটি ফিলিং স্টেশনে হামলা ও লুটপাট এবং এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিলেট সিএনজি ও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। কোন ধরনের ঘোষণা ছাড়াই মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় এ ধর্মঘট। এতে বিপাকে পড়েছেন গাড়ি চালকরা।

মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট নগরীর আম্বরখানা, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট-তামাবিল সড়ক, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি ফিলিং স্টেশন ঘুরে সেগুলো বন্ধ দেখা যায়। কর্মচারীরা জানান, মালিক সমিতির নির্দেশনা অনুযায়ী তারা গ্যাস ও জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। তবে সোমবার রাতে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়ায় অনেকেই বিষয়টি জানতে পারেননি বলে অভিযোগ গাড়ি চালকদের।

আব্দুল কাইয়ুম নামের এক প্রাইভেট কার চালক বলেন, ‘আমি ধর্মঘটের খবর জানতাম না। সকাল থেকে গ্যাসের জন্য ঘুরছি। কোথাও গ্যাস দিচ্ছে না।’ বন্দরবাজারের সিএনজি অটোরিকশা চালক রশিদ বলেন, ‘কাল রাতে ধর্মঘটের বিষয়টা জানতে পারি নাই। এখন কেউ গ্যাস দিচ্ছে না। আমিতো বিপদে পড়ে গেলাম।’

প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে দক্ষিণ সুরমার বাইপাসস্থ সাউথ সুরমা সিএনজি এন্ড পেট্রোল ফিলিং স্টেশনে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে কতিপয় যুবক। এ ঘটনায় জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকসহ আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ ফলিকের নাম বাদ দিতে বলে। এর প্রেক্ষিতেই সিলেট সিএনজি ও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

সিলেট সিএনজি ও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জুবের আহমদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ফলিকের নাম বাদ দিতে রাজি হইনি। এ ব্যাপারে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেও ফল পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।

(ইউবি/এএস/এপ্রিল ১২, ২০১৬)