সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে তিন সন্তানের জননীকে শ্লীলতাহানি করতে গিয়ে গৃহবধুর জুতা পেটা খেয়েছে কামারখন্দের হাজী কামাল হোসেন ফটিক।

শুধু জুতা পেটা নয়, ঘুষি দিয়ে তার নাকও ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। পরে তাকে বেঁধে রাখা হলে ওই নেতার আত্মীয় ওছিমুদ্দীনসহ কয়েকজন স্থানীয় নেতা বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

বুধবার সকালে কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের কোনাবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গৃহবধু কল্পনা বেগম জানান, তার স্বামী রফিকুল ইসলাম প্রায় পাঁচ বছর যাবত বিদেশে অবস্থান করায় তিনি ৩ ছেলে-মেয়ে শ্বশুরবাড়ীতে থাকেন। স্বামী বিদেশে যাবার পর থেকেই লম্পট কামাল তাকে নানা উত্যক্ত করে আসছিল এবং তার নামে বিভিন্ন লোকের কাছে কুত্সা রটাতে থাকে।

এ অবস্থায় আজ সকাল আটটার দিকে লম্পট কামাল তার বাড়ীতে এসে তার মোবাইল নম্বর চায়। ফোন নম্বর না দেয়ায় সে এক পর্যায়ে তাকে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় তার শার্টের কলার ধরে নাক-মুখে কিলঘুষি মারতে থাকি। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে তাদের সহায়তা তাকে বেঁধে রেখে আমি নিজেই জুতা পেটা করি। এ সময় লম্পট কামাল তার হাতে-পায়ে ধরে মাফ চায়।

সংবাদ পেয়ে লম্পট কামালের ভাই ওছিমুদ্দীন, শামসু মাষ্টার, ঠান্ডু, মজিদ ও খলিল বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, কামালের আত্মীয়-স্বজনেরা বিষয়টি গোপনে মিমাংসার কথা বলছে-আমি রাজী হইনি। গ্রামের মাতব্বরা বসে যদি উপযুক্ত বিচার দেন তবে তাতে রাজি রয়েছি। এরপরও তিনি বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি করবেন বলেও জানিয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে হাজী কামাল হোসেন ফটিক জানান, মেয়েটির চরিত্র খুব খারাপ। অনেকের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে। সকালে আমি রাস্তায় দিয়ে বাজারের যাবার সময় মেয়েটি আমাকে দাঁড় করিয়ে উল্টা-পাল্টা কথা বলায় আমি তাকে দুটি থাপ্পড় দেই। এ সময় মেয়েটিই আমার কলার ধরে মারপিট করে।

বেঁধে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বন্ধু ওছিমুদ্দীন এসে আমাদের দুজনকে সরিয়ে দেয়। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি। শুনেছি সে এলাকায় বিচার প্রার্থী হয়েছে। আমি বিচারে বসতে রাজি আছি।

(ওএস/এটিআর/জুন ০৪, ২০১৪)