প্রবীর সিকদার


একজোড়া খুন ; আওয়ামীলীগ নেতা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা খুনের উদ্দেশ্যে একের পর নৃশংস হামলার ঘটনা; আতঙ্কের জনপদ ফরিদপুরের নানা ভয়ঙ্কর ঘটনার কোনটারই কিনারা করতে পারেনি ফরিদপুর পুলিশ। এটা কি ফরিদপুর পুলিশের ব্যর্থতা, নাকি সূতার টানের সীমাবদ্ধতা, কে জানে!

অথচ ফরিদপুরের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ফিরছে, এই সব নৃশংস খুন কিংবা খুনের উদ্দেশ্যে নৃশংস হামলা কারা করছে, কারা এই সব অপকর্মের গডফাদার। মুখে মুখে আরও ফিরছে, গ্রেফতার করা হোক সন্ত্রাসী 'পাঁঠা সোহাগ'কে, বেরিয়ে আসবে সকল তথ্য।

কিন্তু কেন যেন 'পাঁঠা সোহাগ'কে গ্রেফতারে ফরিদপুর পুলিশের দারুণ অরুচি! তবে কি ফরিদপুর পুলিশের সূতার টানের সীমাবদ্ধতা এতোটাই প্রকট! এই পরিস্থিতিতে একমাত্র ভরসা সেনা গোয়েন্দা সংস্থা।

বিভিন্ন অনুকূল কিংবা প্রতিকূল সময়ে আমার ওপর নেমে আসা অবর্ণনীয় নির্যাতন/বিড়ম্বনার সময়ে সেনা গোয়েন্দা সংস্থার ইতিবাচক ভূমিকায় আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁদের ওপর। আতঙ্কিত জনপদ ফরিদপুরের মানুষের মনের আতঙ্ক দূর করতে দ্রুত চাই সেনা গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা। সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ফরিদপুর পরিস্থিতি নিয়ে একটি তদন্ত রিপোর্ট সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছে দিলেই মুক্তি পাবে ফরিদপুরের মানুষ, সেই দৃঢ় বিশ্বাস আমার রয়েছে।

(পিএস/অ/এপ্রিল ১৮, ২০১৬)