স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা দেখতে চান না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ সাক্ষাৎ করেছেন।

শেরে বাংলা নগরে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিইসির সঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেন।

বৈঠক শেষে হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে- নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম, ত্রুটি, বিচ্যুতি উনি দেখতে চান না। সে নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছি।’ অনিয়ম হলেই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন হানিফ।

পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদেরও এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও নির্দেশনা দিয়ে রাখব। কোথাও কোনো অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তৃতীয় ধাপের ভোটের দুই দিন আগে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে ক্ষমতাসীন দলটির প্রতিনিধি দল কমিশনকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিলেন।

হানিফ বলেন, বিএনপি ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দিতে না পেরে বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টা করছে। এ নির্বাচনকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্যে ইসিকে পরামর্শ দিয়েছি। যেখানেই অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা সেখানেই ইসিকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আমাদের সহায়তাও থাকবে।’

গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইউপি ভোটের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত গোলযোগ-সহিংসতায় অন্তত ৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনাও করেছে বিভিন্ন মহল। তবে দ্বিতীয় দফা আইনশৃঙ্খলা বৈঠকের পর সিইসি বলেছিলেন, সহিংসতা রোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২২ মার্চ ও ৩১ মার্চ দুই পর্বের ভোট শেষ হয়েছে। ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপের ভোট হবে। এবার ছয় ধাপে ইউপি ভোট হচ্ছে।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ২১, ২০১৬)