মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকদের চারদিন ধর্মঘটের পর পঞ্চম দিন মঙ্গলবারে বর্হিবিভাগ বন্ধ থাকলেও জরুরি বিভাগ খোলা ও ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা খুব কম।

সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুরে ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার অবহেলায় রোগি মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করে চিকিৎসকরা। গত চারদিন চিকিৎসকদের ধর্মঘটের পর পঞ্চম দিন মঙ্গলবার থেকে বর্হিবিভাগ বন্ধ থাকলেও জরুরি বিভাগ খোলা ও ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা খুব কম। অধিকাংশ সিটই খালি পড়ে আছে।

শহরের কুলপদ্বী এলাকার থেকে আসা হাসপাতালে ভর্তি রোগী সিমা আক্তারের নানী জয়নব বেগম বলেন, আমার নাতির ছয়দিন আগে বাচ্চা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ডাক্তার দেখেননি। তবে একজন ডাক্তার মঙ্গলবার পরিদর্শনে আসলেও আমার নাতিকে দেখেননি।

অপর রোগী কালকিনি থেকে আসা সিমা আক্তারসহ একাধিক রোগী বলেন, চার দিন পর মঙ্গলবার ডাক্তার এসেছিলেন। রোগীদের দেখে গেছেন এবং সকাল থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের খাবারও দিচ্ছেন। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে আর চিকিৎসকদের উপস্থিতিও বেড়েছে বলে রোগীরা জানান।

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করতে তার অফিস রুমে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। জানা যায় তিনি অফিসের কাজে ঢাকা গেছেন। তাই তাকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিভিস করেননি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর রাতে মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার লাল মিয়া শিকদারের স্ত্রী রেনু বেগমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঐ রোগী মারা যায়। এই ঘটনায় রোগীর আত্মীয় স্বজন কর্তব্যরত চিকিৎসক খন্দোকার মাইনুল হাসানের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ এনে ঐ চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। অপরদিকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ এনে চিকিৎসকরা শুক্রবার থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করে।

(এএসএ/এএস/এপ্রিল ২৬, ২০১৬)