অভিজিত রাহুল বেপারী : পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের মিরুয়া ওয়ার্ডের কালীবাড়ী সাইক্লোনশেল্টার এলাকায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে অনিমা (৩০) নামে এক গৃহবধূকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী উত্তম মীরবর পলাতক রয়েছে। উত্তম সে পেশায় একজন দিন মজুর । নিহত অনিমা বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের বড় হরিপুর এলাকার অনন্ত বাছারের মেয়ে।

স্থানীয় চৌকিদার শহিদুল ইসলাম দুলাল বলেন, কালীবাড়ী সাইক্লোনশেল্টার এলাকায় থাকা এক চিকিৎসকের কাছ থেকে মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে ফেরার পথে একাধিক নারী আমাকে জানায়, উত্তম মীরবরের স্ত্রী অনিমা তাদের ঘরে মৃত অবস্থায় পরে আছে। এর পর আমি সেখানে গিয়ে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পিরোজপুর থানা পুলিশকে জানাই এবং তার স্বজনদের খুঁজতে থাকি। কিছুক্ষণ পর তার শাশুরী একটি বাজারের ব্যাগ নিয়ে আসে। এসেই অনিমাকে মৃত দেখতে পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। ৫নং মিরুয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক খোকা জানান, উত্তম একজন দিন মজুর, এছাড়া সে নেশায় আসক্ত ছিল।

নিহত অনিমার কাকা উত্তম বাছার বলেন, বিয়ের পর থেকেই উত্তম মীরবর যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রী (অনিমা) কে নির্যাতন করে আসছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত উত্তমের অন্যায় আবদার পূরণ করেছি। এর পর তিনি বলেন, উত্তমের একটি ৭ বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে। সে আমাদের বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনীতে পড়াশুনা করে। উত্তম বাছার বলেন, আমার ভাইয়ের মেয়ে অনিমাকে তার স্বামী গলাটিপে হত্যা করেছে। হত্যাকালে উত্তম অনিমার গালে দু’টো কামড় দিয়েছে। পিরোজপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক বিপ্লব জানান সুরতহালে অনিমার গলায় দাগের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনিমা রানীর শাশুড়ী কল্পনা রানীকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পিরোজপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ননী গোপাল রায় বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না।

(এআরবি/এএস/এপ্রিল ২৭, ২০১৬)