রাবি প্রতিনিধি:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির আজও উত্তাল হয়ে উঠেছে। বুধবার সাড়ে ১০ টার দিকে  প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৪০ মিনিট অবরোধ করে রাখে তারা।

জানা যায়, বুধবার বেলা ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে জমায়েত হতে থাকে। সেখান থেকে সাড়ে ১০টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এরপর মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে আসে এবং রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। হত্যাকান্তের ৫ম দিনে সকাল ৯ট থেকে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায় কোনো কোনো বিভাগের শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন যদিও ক্লাস রুমে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। আজ সকাল থেকে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বানে এই ক্লাস বর্জন কর্মসূচি শুরু হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে ‘আমার শিক্ষক হত্যা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘শিক্ষা, সন্ত্রাস-এক সাথে চলে না’, ‘শিক্ষক হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকে।
সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল বের করে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা বিভাগের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

এ দিকে শিক্ষক হত্যার বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদী র‌্যালী বের করে। র‌্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে তাদের দলীয় টেন্ট্রে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এত বিশ্বদ্যিালয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব বক্তব্য রাখেন। তারা দ্রুত এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেন। এসময় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম প্রমুখ।

একই দাবিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর থেকে হিসাব বিজ্ঞান পরিবার একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে বিভাগের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এ সময় বক্তরা বলেন, ‘আজ আমরা কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চায়। এ সময় খুনের সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানান তারা । এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিভাগের সভাপতি প্রফেসর এম হুমায়ুন কবীর, প্রফেসর ড. সুভাষ চন্দ্রশীল, প্রফেসর ড মো.সাইয়েদুজ্জামান, প্রফেসর মোহা.মুনজুর মুরশিদুল আবেদীন, মো. কামরুল হাসান শোভন, মো. ইমরান হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সুমন হোসেন প্রমুখ।
এদিকে বিচারের দাবিতে ফোকলো ও মার্কেটিং বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

উল্লেখ্য যে, গত শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে একটু দূরে অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।


(আইএইচএস/এস/এপ্রিল২৭,২০১৬)