ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : গত কয়েকদিনের প্রচন্ড তাপদাহে ঈশ্বরদী বাসীর চলমান স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে রেকর্ড করা হয়েছে। গত ৭ দিনে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রী থেকে ৪০ ডিগ্রীর মধ্যে উঠানামা করছে। গত ২০শে এপ্রিল ৩৮.৭ ডিগ্রী, ২১শে এপ্রিল ৩৯.৭ ডিগ্রী, ২২শে এপ্রিল ৪০ ডিগ্রী, ২৩শে এপ্রিল ৩৯ ডিগ্রী, ২৪শে এপ্রিল ৩৯.৬ ডিগ্রী, ২৫শে এপ্রিল ৩৯ ডিগ্রী এবং গতকাল ২৬শে এপ্রিল ৩৮ ডিগ্রী রেকর্ড করা হয়।

সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কম হওয়ায় গরম বেশী অনুভূত হচ্ছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। সকাল ১০ টার পর হতেই তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে দুপুরে জনজীবন চরম অসহনীয় অবস্থায় পৌঁছে। সকাল ১১টার পর হতে রাস্তা-ঘাটে লোক চলচল কমতে থাকে। দুপুরে পশু-পাখিও চোখে পড়ে না। রাস্তায় দুয়েকটি ভ্যান, ট্রাক, মোটর কার চলাচল করলেও রিক্সা পাওয়া দুস্কর।

মরু অঞ্চলের লু হাওয়ার মতো গড়ম বাতাস গত তিন দিন ধরে প্রবাহিত হচ্ছে। গড়ম বাতাসের হল্কায় চোখ-মূখ পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। বৃষ্টি হওয়ার কোন লক্ষণ নেই। এপ্রিলের শেষ হতে মে মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। ঈশ্বরদীর অন্যতম অর্থনৈতিক ফসল লিচুর গুটি শুকিয়ে লাল হয়ে ঝরে পড়ছে। লিচু চাষীরা বৃষ্টির বিকল্প হিসেবে লিচু ও আম গাছে পানি স্প্রে করেও কুলোতে পারছে না। এরমধ্যে বৃষ্টির জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষ নামাযের সময় বেশ কয়েকটি মসজিদে মোনাজাত করেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে খরার তীব্রতায় ডায়ারিয়া ও আমাশয়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গড়মের তীব্রতায় মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরা বেকায়দায় পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই প্রতি বছরই এই সমস্যা বেড়েই চলেছে। বৃক্ষ নিধনের কারণেই প্রকৃতির এই বিরুপ আচরণের অন্যতম কারণ বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।

(এসকেকে/এএস/এপ্রিল ২৭, ২০১৬)