আন্তর্জাতিক ডেস্ক :আফগানিস্তানের কুন্দুজে এক হাসপাতালে বিমান হামলা চালানোর দায়ে ১৬জন সেনা সদস্যের বিরুদ্ধের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। তবে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মেডিকেল দাতব্য সংস্থা মেদসঁ সঁ ফ্রতিয়ে বা এমএসএফ পরিচালিত ঐ হাসপাতালে গতবছরের বিমান হামলায় ৪২জন মানুষ মারা গিয়েছিল।

হামলার পর হাসপাতালটির ভেতরকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক ভিডিও সম্প্রতি বিবিসির সংবাদদাতারা সংগ্রহ করেছেন।

ফুটেজে দেখা যাচ্ছে পুরো হাসপাতালটি কিভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অধিকাংশ দেয়াল ধসে গেছে, হাসপাতালের প্রতিটি কক্ষ, এয়ারকন্ডিশনার, অপারেশন থিয়েটার সব পুড়ে কয়লার মত হয়ে গেছে।

ছাই হয়ে গেছে রোগীদের বিছানাগুলো। ভবনটির ছাদ উড়ে গেছে। অপারেশন থিয়েটারে সার্জারি চলছিল এমন এক রোগীর প্রত্যঙ্গ উড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে সেখানেই। সেখানকার ভাঙ্গা দেয়ালটির বহু জায়গায় এখনো রক্তের ছাপ।

গত অক্টোবরে এমএসএফ পরিচালিত হাসপাতালে ঐ বিমান হামলায় হাসপাতালের কর্মী ও রোগীসহ মোট ৪২জন মানুষ নিহত হয়। শুরুতে সেটিকে একটি ‘মানবিক ভুল’ বলে দাবি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত কর্মকর্তারা।

কিন্তু ঐ ঘটনাকে ভুল ছিল বলে স্বীকার করে দু:খ প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

পরে, সেনাবাহিনীর গঠিত এক তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয় মার্কিন বাহিনী জানতো না যে তারা এমএসএফ এর সেন্টারে হামলা চালাচ্ছে। যে বিল্ডিংয়ে তালেবান জঙ্গি আছে বলে তথ্য ছিল সেই জায়গা ছিল কয়েকশো মিটার দূরে।

নভেম্বরে বিমান হামলার সাথে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এখন ষোলোজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হল।

এদের মধ্যে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়েছেন, বাকীরা বিশেষ অপারেশন বাহিনীর সদস্য বলে জানা যাচ্ছে।

(ওএস/এস/এপ্রিল২৯,২০১৬)