মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর সদর হাসপাতালে এক চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ডাকা ধর্মঘট ৭ দিন পর শুক্রবার সকালে নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খানের হস্তক্ষেপে প্রত্যাহার করে নিয়েছে চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক খন্দোকার মাইনুল হাসানকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ এনে ২২ এপ্রিল সকাল থেকে চিকিৎসকরা ধর্মঘট শুরু করে।

এই ঘটনায় টানা ৭ দিন ধর্মঘটের পর শুক্রবার সকালে সদর হাসাপাতালের সম্মেলন কক্ষে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান বৈঠক করেন। এসময় দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের আশ্বাস দিলে চিকিৎসকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।

এসময় নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার দাস, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহজাহান খান, এবিএম বজলুর রহমান খান রুমি প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল ভোর রাতে মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার লাল মিয়া শিকদারের স্ত্রী রেনু বেগমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঐ রোগী মারা যায়। এই ঘটনায় রোগীর আত্মীয় স্বজন কর্তব্যরত চিকিৎসক খন্দোকার মাইনুল হাসানের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে। অপরদিকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ এনে চিকিৎসকরা ঐদিন থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করে।

এছাড়াও নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান মাদারীপুরের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের ‘ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সে’ নামের একটি সংগঠনের মাত্র ২শ’ কার্গো জাহাজ বন্ধ রয়েছে। বাকি সব জাহাজ চলাচল করছে। তবে বন্ধ জাহাজগুলোও ২-১ দিনের মধ্যেই চলাচলের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নৌমন্ত্রী আরো বলেন, যে মালিক পক্ষের সংগঠন নৌ-ধর্মঘট ডেকেছে, ইতোপূর্বে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা তাদের সমস্যার কথা লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলেছি। আশা করি, ২-১ দিনের মধ্যেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

(এএসএ/এএস/এপ্রিল ২৯, ২০১৬)