ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর ফতেহমোহাম্মদপুর বিহারীপাড়া এলাকায় পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে বিশাল হোসেন (২৫) নামের এক যুবলীগ হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে এবং বিশাল বিহারী বাজারের বক্কার মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। বিশাল ওই এলাকার যুবদল কর্মী মুরাদ হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী বলে জানা গেছে। এই হত্যাকান্ডে নিহত মুরাদের স্বজনরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রাত সাড়ে দশটার দিকে এলাকার বাদলের পুত্র শামীম (১৪) গাওছিয়া মসজিদের নিকট হতে মোটর সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় আত্মগোপনে থাকা বিশাল তার মোটর সাইকেলের পিছনে চড়ে বসে। মোটরসাইকেলটি রেলওয়ে হাসপাতাল অতিক্রম করার সময় নিহত মুরাদের স্বজনরা মোটরসাইকেল থামিয়ে বিশালকে নামিয়ে নেয়।

এসময় বিশালকে ধরে নাজিম উদ্দিন স্কুল সংলগ্ন মিজানের মোড়ে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। থানার ওসি (তদন্ত) রমজান আলী জানান, বিশালকে মারধর করা হচ্ছে এই খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত পুলিশ যেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ঈশ্বরদীতে অবস্থার অবনতি ঘটলে বিশালকে রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহী যাওয়ার পথে রাত ১২ টার দিকে বিশালের মৃত্যু হয়। শনিবার দুপুরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনায় প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে মোটর সাইকেল রং মিস্ত্রী বাদল জানান, তার ছেলে শামীমও তার সাথে রং এর কাজ করে। শামীম মোটর সাইকেল রেল হাসপাতালের দিকে যাওয়ার সময় বিশাল জোর করেই তার মোটর সাইকেলে বসে পড়ে। অথচ এই ঘটনায় বিশালের স্বজনরা শামীমকে অভিযুক্ত করে রাতেই তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট, মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে। হামলায় বাড়ির মহিলারাও আহত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায়, নিহত বিশাল এর আগে বিএনপি’র যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকা অবস্থায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে মুরাদ হোসেন খুন হয়। এই হত্যা মামলার আসামী বিশালসহ কয়েকজন পরে আওয়ামী লীগের অংগ সংগঠন যুবলীগে যোগ দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও থানায় কোন এজাহার দাখিল হয়নি। তবে এজাহার দাখিলের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(এসকেকে/এএস/এপ্রলি ৩০, ২০১৬)