নিউজ ডেস্ক : ‘দায় দায়িত্ব নিয়েই বলছি, সজীব ওয়াজেদ জয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে কোনো সরকারি সুযোগ–সুবিধা নেন না। তাঁর নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈতনিক’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মঙ্গলবার বিকেলে তার অফিসিয়াল পেজে এক স্ট্যাটাসে আশরাফুল আলম খোকন লেখেন, ‘ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পেরে বিরোধীপক্ষ আবারো বেছে নিয়েছে খুবই নোংরা পথ। যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই এর একজন কর্মকর্তাকে হাত করে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা করার জন্য তারা স্থান হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রকেই বেছে নেয়। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। এই ষড়যন্ত্র মামলায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা ও ওই এফবিআই কর্মকর্তা রবার্ট লাসটিকসহ তিনজন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে রয়েছেন।

আশরাফুল আলম খোকনের দেওয়া স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল :

দায় দায়িত্ব নিয়েই বলছি, সজীব ওয়াজেদ জয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে কোন সরকারি সুযোগ– সুবিধা নেন না । তাঁর নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈতনিক।

এই বিষয়ে বলার প্রয়োজন হল, কারণ সাম্প্রতিক কিছু বিষয় নিয়ে বিরোধী পক্ষ (সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা ছাগু নামে পরিচিত) তথ্য প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। কারণ আর কিছুই নয়, তারেক–কোকো’দের মত নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করাই মূল উদ্দেশ্য। আর এখানে দুইটি পক্ষ জড়িত। প্রথমতঃ জামায়াত-বিএনপি আর অন্যদিকে সুশীল সমাজের একাংশ যারা বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত। প্রথম পক্ষের উদ্দেশ্য দিনের আলোর মত পরিস্কার।

আর একাংশের সুশীলদের উদ্দ্যেশ হচ্ছে ক্ষমতা দখল। চরম দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিদের লালন পালনের কারনে তারেক – কোকোদের ইমেজ ইতিমধ্যেই ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। ক্ষমতায় থাকার পরও এত বছরে যেহেতু সজীব ওয়াজেদ জয় এর ইমেজ শত চেষ্টা করেও একটুও প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি তাই তারা এবার ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছেন। আর তাহলেই ১/১১ এর কুশীলবদের ক্ষমতায় আসার পথ সহজ হয়।

ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পেরে বিরোধীপক্ষ আবারও বেছে নিয়েছে খুবই নোংরা পথ। যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই এর একজন কর্মকর্তাকে হাত করে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরন ও হত্যা করার জন্য তারা স্থান হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রকেই বেছে নেয়। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। এই ষড়যন্ত্র মামলায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা এবং ওই এফবিআই কর্মকর্তা রবার্ট লাসটিকসহ তিনজন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে রয়েছেন। যে মামলার তদন্ত যুক্তরাষ্ট্রই করেছে। আর এই পুরো ষড়যন্ত্র প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শফিক রেহমান। গ্রেফতার হবার পর তিনি নিজেও তা স্বীকার করেছেন এবং তার বাসা থেকে কাগজপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। তার স্ত্রী তালেয়া রেহমান প্রেস কনফারেন্সে নিজেও বলেছেন, এই কাজে শফিক রেহমান যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এবং ওই এফবিআই কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎও করেছেন।

সবকিছু দিনের আলোর মত পরিস্কার হয়ে যাবার পর মাথা খারাপ হয়ে গেছে ষড়যন্ত্র মূল হোতা খালেদা জিয়া – তারেক রহমানদের। ম্যাডাম জিয়া পরপর দুইদিন বললেন, সজীব ওয়াজেদ জয় এর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে নাকি অবৈধ ৩০০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে। যদিও ৩০০ মিলিয়নতো দুরের কথা তিন হাজার ডলার যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে রাখতে গেলে আয়ের বৈধ উৎস দেখাতে হয়। ম্যাডাম জিয়া হয়তো এই বিষয়টি জানার পরও শুধু সজীব ওয়াজেদ জয় এর ইমেজ প্রশ্নবিদ্দ করতে এই হাস্যকর কথা বলেছেন। ওনার অভিযোগ, ৩০০ মিলিয়ন এর সব প্রমান ওনার হাতে আছে, আর জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্যই নাকি সরকার শফিক রহমানকে গ্রেফতার করেছে।

সজীব ওয়াজেদ জয়ও কম যান না। যার শরীরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সততার রক্ত প্রবাহিত। তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ম্যাডাম জিয়ার প্রতি। তিনি বলেছেন, ম্যাডাম জিয়া ৩০০ মিলিয়নের প্রমান দিতে পারলে সব টাকা তিনি “এতিমদের” দিয়ে দিবেন। যেহেতু ম্যাডাম জিয়া নিজেই বলেছেন তার কাছে সব প্রমান আছে। কিন্তু সজীব ওয়াজেদ জয় এর চ্যালেঞ্জের পর ম্যাডাম জিয়া মুখে কুলুপ এঁটেছেন। ম্যাডাম জিয়া মুখে কুলুপ আটার অবশ্য অন্য কারনও আছে। আসলে তিনি এতিমদের কথা শোনার পরই চুপ হয়ে গিয়েছেন। কারণ উনি এবং উনার ছেলে নিজেরাই এতিমদের টাকা মেরে খেয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে বিদেশীদের কাছ থেকে টাকা এনে সেই টাকা নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন। মামলায় হাজিরা নিয়েও গড়িমসি করছেন। তাকে নাকি হয়রানি করা হচ্ছে এইসব ইস্যু বানাচ্ছেন। অথচ ওনারা যে ব্যাংক থেকে চেকের মাধ্যমে এতিমদের হক এর ওই টাকা নিজেরা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন এর সকল প্রমানও আছে। তাই এখন তিনি সজীব ওয়াজেদ জয় এর চ্যালেঞ্জ নিয়ে আর কোন কথা বলছেন না।

কিন্তু তার সাঙ্গ পাঙ্গরা অন্যপথ ধরেছেন। বলছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় নাকি কোটি টাকার উপর বেতন ভাতা পায় সরকারের কাছ থেকে। যদিও তাঁর নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈতনিক ।

(ওএস/এএস/মে ০৩, ২০১৬)