মেহেরপুর প্রতিনিধি :মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামে ফুলসুরাতন (৮০) নামের এক বৃদ্ধা পেট্রল আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার দিনগত রাত সাড়ে বারটার দিকে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার জামাই হাউস আলী পেট্রল ঢেলে আগুন দেয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ফুলসুরাতন। অর্থাভাবে ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। আহত ফুলসুরাতন সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আবু বক্করের স্ত্রী।

আহতের পরিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফুলসুরাতনের মেয়ে মাটিকাটা শ্রমিক আম্বিয়া বেগমের সঙ্গে ষোলটাকার মাটিকাটা শ্রমিক হাউস আলীর বিয়ে হয়। উভয়ের মনমালিন্যর জেরে ২১ দিন আগে আম্বিয়া বেগম হাউস আলীকে তালাক দিয়ে মায়ের বাড়িতে ফিরে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার আশায় নানাভাবে চেষ্টা করছিলেন হাউস। ঐ রাত সাড়ে বারটার দিকে ফুলসুরাতন বেগম নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকার সময় তাকে (স্ত্রী) আম্বিয়া বেগম মনে করে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় হাউস। এসময় আম্বিয়া বাড়িতে ছিলেন না। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রোগীর জীবন সংকটাপন্ন। শরীরের ৮০ ভাগ আগুনে ঝলসে গেছে। তাকে ঢাকার হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হলেও অর্থাভাবে তাকে নিয়ে যেতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন। অভিযুক্ত হাউসকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।





(এমআইএম/এস/মে০৮,২০১৬)