দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : জেলার দুর্গাপুর উপজেলার শিবগঞ্জ বাজার থেকে ধোবাউড়া উপজেলার রণসিংহপুর পর্যন্ত ৮কিঃমিঃ রাস্তা ১২টি ব্রীজের এ্যাপ্রোস সহ পুনঃ সংস্কার কাজ ২ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে শুরু হয়েছে ২মার্চ-২০১৬ইং তারিখে যা শেষ হবে ২মার্চ ২০১৭ইং।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই কাজটি ‘‘নর্দান বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেড ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট’’ এর আওতায় ঠিকাদার বাসেদ প্রকৌশলী মেসার্স ভূইয়া এন্টারপ্রাইজ জয়েন্ট ভেঞ্চার এই কাজটি পায়। এই কাজটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ করছে ,অপরদিকে অসাধু কিছু সোমেশ্বরী নদীর বালু পাথর ব্যবসায়ী রাস্তার কাজ শুরু করতে না করতেই শত শত ট্রাক রাস্তায় ঢুকিয়ে দিয়ে সংস্কার কাজের বাঁধা তৈরি করছে।

দুর্গাপুর উপজেলার রাস্তার পাশ্ববর্তী গ্রাম এর বাসিন্দারা এই প্রতিনিধিকে বলেন, গৌরীপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আব্দুল খালেক, আবুল কাশেম, ভেন্নকান্দা গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন, আয়নাল বিবি, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মোঃ মামুন মিয়া, মোঃ কামাল তালুকদার, দুবরাজপুর গ্রামের মোঃ নূরুউল্লাহ্, সনারকান্দা গ্রামের আব্দুর রশিদ। রাস্তা টিকে না থাকলে এই অঞ্চলের কৃষকরা ধান বাজারে নিতে পারবে না, অন্যান্য উৎপাদিত শাক সবজিও বাজারে নিতে পারবে না । ২০১৩-২০১৪ ইং সালে তৎকালীন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এম,পি ও মোশতাক আহামেদ রুহী এম,পি সাহেবের অক্লান্ত চেষ্টায় এই রাস্তাটি হয়েছিল যার ফলে এর সুফল ভোগ করছে এলাকাবাসী।

ময়মনসিংহ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সারাদিন ট্রাকগুলো ঢুকে শিবগঞ্জ রাস্তার উপড়ে পার্কিং করে দিনের বেলার বালু,পাথর,সাদামাটি ভর্তি ট্রাকগুলো চললে এলাকার লোকজন বাঁধা দেওয়ার ফলে রাত্র ৮ টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৪শত থেকে ৫শত ট্রাক চলছে ১ সপ্তাহের বেশী সময় ধরে। ফলে ঠিকাদার রাস্তার কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে। রাস্তার নতুন মাটি সরে যেয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হচ্ছে।

উল্লেখ্য যে ,এই ট্রাকগুলো চলেছে এ যাবৎ কাল দুর্গাপুর থেকে বিরিশিরি - শ্যামগঞ্জ হয়ে বিশ্বরোড, এ রাস্তাতো আর রাস্তা নেই হয়ে গেছে হালচাষ করার ক্ষেত। এবার এটাও শেষ হবে ,সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর না দিলে। যে রাস্তাটি বর্তমানে আছে রোড ক্যাপাসিটি ট্রাক প্রতি ১০ টন পরিবহনের ,সেখানে চলছে ৩০টনের বেশী । এই হচ্ছে বাস্তব চিত্র। একদিকে সরকার নতুন রাস্তা তৈরি করবে, অন্যদিকে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলবে বালু পাথরের বানিজ্য।

এলজিইডি‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইছমত কিবরিয়া এর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ,আমরা বিষয়টি অবহিত হয়েছি ট্রাফিক কাউন্ট করে প্রকল্প পরিচালক বরাবর লিখিত ভাবে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এনএস/এএস/মে ০৯, ২০১৬)