পাবনা প্রতিনিধি : শরীরের একবিন্দু রক্ত থাকতে মতিউর রহমান নিজামীর মরদেহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত পাবনার মাটিতে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জেলা, সদর উপজেলা ও নিজামীর নিজ এলাকার তরুণ প্রজন্ম ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তরা।

আর মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, কুলাঙ্গারের অবসান হবে ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশেষ করে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ে এই নিজামী যে হারে হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, ধর্ষণে সহায়তা করা, বাড়িঘর লুট করেছে, সেই অপরাধের ধারাবাহিকতায় মৃত্যুদণ্ডই ছিল তার একমাত্র সাজা। যে সাজা কার্যকরের পথে। ফাঁসি কার্যকর হওয়া মানে বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নের সোনারবাংলা রাজাকারমুক্ত, কুলাঙ্গার মুক্ত হওয়া।

এদিকে, ফাঁসি কার্যকরের আগে ‘শেষ দেখা’ করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে গেছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর স্বজনেরা।

মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে কারাফটকে পৌঁছান তার স্বজনেরা। এর ৫/৭ মিনিট পর প্রক্রিয়া শেষে কারাগারের ভেতরে যান তারা।

(ওএস/অ/মে ১০, ২০১৬)