প্রবীর সিকদার


গ্রামীণফোনের সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে আমাকে আর কোনও পয়েন্টে যেতে হবে না; গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ আমার ঠিকানায় তাদের লোক পাঠিয়ে আমার গ্রামীন সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করাবেন। শুধু আমি নই, সকল গ্রাহকের জন্যই এমন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ। তারা ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপের জন্য গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।

আমি আমার সিদ্ধান্ত ফেসবুকেই প্রকাশ করেছিলাম; আমি নিজে সংশ্লিষ্ট ফোন কোম্পানির কোনও পয়েন্টে গিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমার মোবাইল ফোনের সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করাবো না। ফোন বন্ধ করার পর ভেবে দেখবো কি করা যায়। আমার মতো একজন ছোট মানুষ এই রকমের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ছোট একটি প্রতিবাদ জানাতেই।

দেশে অবৈধভাবে মোবাইল ফোনের সিম কেনাবেচা এবং অবৈধ মোবাইল ফোনের ব্যবহার হচ্ছে দীর্ঘদিন। একই সঙ্গে দেশের অনেকেই সরকারি নিয়ম মেনে সিম কিনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। যারা দীর্ঘদিন অবৈধভাবে সিম কেনাবেচা ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেন তাদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্তা না নিয়ে বৈধ ও অবৈধ সকলকেই একসঙ্গে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করবার এই উদ্যোগ আমাকে পীড়া দিয়েছে। আর তার প্রতিবাদ করতেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সরকার নির্ধারিত সময়ে আমি আমার মোবাইল ফোনের সিম সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নির্ধারিত পয়েন্টে গিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করাবো না। একবার মেয়াদ শেষের পর দ্বিতীয় মেয়াদে কিংবা শেষ মেয়াদে এসে গ্রামীণফোন তাদের গ্রাহকদের সম্মানে গ্রাহক বান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়েছে; গ্রামীণফোন লোক পাঠিয়ে আমার তথা গ্রাহকদের সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করাবে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

একই সাথে আমি টেলিটক, এয়ারটেল, বাংলালিংক, রবি, সিটিসেল ও র‌্যাংগসটেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, গ্রামীণফোনের মতো আপনারাও গ্রাহকের কাছে গিয়ে মোবাইল ফোনের সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের কর্মসূচি গ্রহণ করুন; এতে গ্রাহককে সম্মান জানানোর পাশাপাশি গ্রাহক ও অপারেটর দুইই উপকৃত হবেন।

(ওএস/অ/মে ১২, ২০১৬)