বরগুনা প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে বরগুনায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে বৃষ্টি ও জোয়ারের চাপে বরগুনা সদরের সোনাতলা গ্রামে বেড়িবাঁধ ভেঙে আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

প্লাবিত গ্রামগুলো হচ্ছে- বরগুনা সদর উপজেলার সোনাতলা, রায়েরতবক, কালিরতবক ও কেওড়াবুনিয়া। পাথরঘাটা উপজেলার, কালমেঘা, কাকচিড়া ও বামনা উপজেলার রামনা এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু‘র প্রভাবে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে ৪১/১ পোল্ডারের প্রায় ২০ মিটার বাঁধ ভেঙে যায়।

জোয়ারের পানি ঢুকে ওই এলাকার বাড়ি-ঘর, কৃষি জমি ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন সোনাতলা, রায়েরতবক ও কালিরতবক গ্রামের মানুষ।

কালিরতবক গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মান্নান বলেন, হঠাৎ করে বাঁধ ভেঙে এভাবে গ্রামে পানি ঢুকে পড়বে তা আমরা বুঝতে পারিনি। জোয়ারের পানি ঢুকে আমার পুকুর তলিয়ে গিয়ে সব মাছ ভেসে গেছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সদরের কেওড়াবুনিয়া, বুড়িরচর, সোনাতলা, রায়েরতবক, পাথরঘাটা উপজেলার, কালমেঘা, কাকচিড়া, রামনা এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার জোয়ারের পানি ২ দশমিক ৫৮ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হলেও তা বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে রাতে জোয়ারের পানি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও তারা জানান।

বরগুনা পানি উন্নয়র বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, বরগুনা সদরের কেওড়াবুনিয়া, পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা, কাকচিড়া, রামনা এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। ধারনা করছি ১০ থেকে ১৫ মিটার বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।

তিনি জানান, এখন বৃষ্টি হওয়ায় বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বৃষ্টি কমে গেলে দ্রুত বাঁধ মেরামত করে দেওয়া হবে।

ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবেলায় জেলার সকল উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং উপকূলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(ওএস/এএস/মে ২০, ২০১৬)