শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের শিমুলতলা এলাকায় একটি বেপরোয়া মাহিন্দ্র লড়ির চাপায় মাসুম শিকদার (২৮) নামে এক ইতালি প্রবাসী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ২জন।  নিহত মাসুম শিকদার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের শালধ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান শিকদারের ছেলে। শুক্রবার রাত সারে ১০টার দিকে মাহিন্দ্র তাকে চাপা দিলে ঘটনা স্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নড়িয়া থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী শাজাহান শিকদারের ছেলে মাসুম শিকদার (২৮) ইতালী প্রবাসী ছিলেন। বাবার নির্বাচনের প্রচারনা চালাতে কয়েকদিন আগে ইতালী থেকে দেশে আসেন। শুক্রবার রাত সারে ১০টার দিকে নির্বাচনী প্রচারনা শেষে এলাকার শিমুলতলা ব্রীজের উপরে দাড়িয়ে মানুষের সাথে কথা বলতে ছিলেন। এ সময় একটি দ্রুতগামী বেপরোয়া মাহিন্দ্র এসে তাকে চাপা দিলে ঘটনা স্থলেই তার মৃত্যু হয়। মাহিন্দ্রের ধাক্কা লেগে শামসুল হক ও পলাশ নামে আরো দুজন আহত হয় । আহতদের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ মাহিন্দ্রটি আটক করেছে। তবে কোন রকম ময়না তদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ স্বজনেরা হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে গেছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির খুটি বহনকারী একটি মাহেন্দ্র সখিপুর এলাকা থেকে খুঁটি নামিয়ে বেপরোয়াভাবে ফেরার পথে প্রথমে গোলার বাজারে কয়েকটি দোকানঘর ভাংচুর করে। সেখান থেকে জনতার তাড়া খেয়ে দ্রুত গতিতে পালানোর সময় শিমুলতলা ব্রীজের উপর দাড়িয়ে থাকা মাসুমসহ দুই জনকে চাপা দিলে মাসুম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এদিকে আহত সামসুল হককে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকায় প্রেরণ করা হলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে তাকে নিয়ে স্বজনরা জাজিরা মাঝির ঘাট পদ্মা পাড়ে বসে আছে বলে জানা গেছে।

নড়িয়া থানার ওসি মো. ইকরাম আলী মিয়া বলেন, গভীর রাতে একটি মাহেন্দ্র লড়ি দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাবার সময় শিমুলতলা ব্রীজের উপর দাড়িয়ে থাকা মাসুম শিকদারকে চাপা দিলে সে ঘটনা স্থলেই মারা যায়। গাড়ির চালক ও হেলপারকে পাওয়া যায়নি। নিহতের স্বজনেরা তার মরদেহ ময়না তদন্ত ছারাই বাড়ি নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেছে। নিহতের পরবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হবে না বলে জানা গেছে।

(কেএনআই/এএস/মে ২১, ২০১৬)