কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : আশ্রয়কেন্দ্রের নিচের চারিদিক ইটের দেয়াল নির্মান করে শিক্ষকদের বসবাসের জন্য চারটি ঘর ও কোচিং ক্লাস নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর সিনিয়র মাদ্রাসা কাম আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুর্ণিঝড় “রোয়ানু” আতংকে ভীতসন্ত্রস্ত গ্রামবাসী গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারেণি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতপুর সাইক্লোন সেল্টারটির চারদিক ইটের গাঁথুনি দিয়ে চারটি রুম করা হয়েছে। ওই রুমে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও জহিরুল ইসলামের জন্য থাকার রুম করা হয়েছে। অন্য দুটি রুমে একটিতে লাইব্রেরী ও অন্যটিতে ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ কারণে এ মাদ্রাসা সংলগ্ন তিনটি গ্রামের মানুষ শুক্রবার রাতে ভয়াবহ ঝড়ের সময় এ আশ্রয়কেন্দ্রে কোন গবাদিপশুর কোন আশ্রয় হয়নি।

গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেণ, ঝড়ের সময় এলাকার মানুষ গবাদিপশুর জীবন রক্ষায় কয়েক কিলোমিটার দূরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। কিন্তু দৌলতপুর মাদ্রাসায় কেউ আশ্রয় নিতে যেতে পারছে না। গ্রামবাসীরা আশ্রয়কেন্দ্রের চারিদিকের ইটের দেয়াল বারবার ভেঙ্গে ফেলার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বললেও তারা ভ্রুক্ষেপ না করায় এবারও ঝড়ে বিপদে পড়েছে গ্রামবাসী।

দৌলতপুর গ্রামের কৃষক শাহীন মুন্সী বলেন,“ আমি ঝড়ের সিগন্যাল হুইন্নাই গরু লইয়া মাদ্রাসায় যাই। কিন্তু দেহি সব আটকাইন্না। আর যেহানে গরু-ছাগল রাকমু হেই জায়গা দেহি আটকাইন্না।

দৌলতপুর সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রব জানান, শিক্ষকদের থাকার জায়গা না থাকায় সাইক্লোন সেল্টারের নিচে ইটের দেয়াল দিয়ে থাকার জায়গা করে দেয়া হয়েছে। সাইক্লোন সেল্টারের নিচের খোলা জায়গায় ঝড়ের সময় গবাদিপশু রাখা হয়। সেই জায়গা আটকাতে পারেণ কিনা এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর না দিয়ে বলেন মাদ্রাসার স্বার্থেই এই কাজ করা হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী জানান, সাইক্লোন সেল্টার তৈরি হয় মানুষের বিপদের জন্য। যা ঝড়ের সময় মানুষ ও গবাদিপশুর নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র। আশ্রয়কেন্দ্র কেউ আটকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেনা। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

(এমকেআর/এএস/মে ২১, ২০১৬)