নিউজ ডেস্ক : ইদানিং অধিকাংশ কিশোর কিশোরীরা ইন্টারনেটে অতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়ছে। স্মার্ট ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে নতুন প্রজন্মের অনেকেই অনেক কম বয়সেই ব্রাউজিং, চ্যাটিং, অনলাইন ডেটিং, ভিডিও চ্যাটে আসক্ত হয়ে পড়ছে।

মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া এই ভয়াল নেশা নতুন প্রজন্মের মেধা কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি নষ্ট করছে তাদের চরিত্র। কীভাবে আপনার সন্তানের ইন্টারনেটের নেশা কমাবেন? জেনে নিন কিছু উপায়।
ব্যস্ত রাখুন

আপনার সন্তানকে অন্য কোনো কিছু নিয়ে ব্যস্ত করে দিন। সেটা হতে পারে টেলিভিশন কিংবা ভিডিও গেমস। যদিও এগুলোরও ক্ষতিকর দিক আছে। কিন্তু ক্ষতিকর হলেও তা ইন্টারনেটের মত ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে না সহজে। এছাডাও বাইরে খেলাধুলা করা কিংবা সাইকেল চালাতেও উৎসাহী করুন আপনার সন্তানকে। তাহলেও ইন্টারনেটে আসক্তি কমবে কিছুটা।
সময় সীমাবদ্ধ করে দিন

আপনার সন্তান যদি অতিরিক্ত ইন্টারনেট আসক্ত হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে তার ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করে নিন। ঘরে ইন্টারনেটের মডেমটি তাকে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ের চাইতে বেশি দেবেন না। আর সেই সঙ্গে তাকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় এমন মোবাইল সেট কিনে না দেয়াই ভালো।
প্রতিদিনের হাত খরচ নির্ধারণ করে দিন

আপনার সন্তানকে মাসের শুরুতেই একবারে হাত খরচ দিয়ে দেবেন না। তাকে প্রতিদিনের খরচ অনুযায়ী হাত খরচ দিন যেন সেই টাকায় তার চলাফেরা আর খাওয়া দাওয়া করার পর ইন্টারনেট প্যাকেজ নেয়ার মত টাকা কিংবা সুযোগ না থাকে।
ইন্টারনেটের খারাপ দিক গুলো বলুন

আপনার সন্তানকে ইন্টারনেট ব্যবহারের খারাপ দিক ও ঝুঁকিগুলো বুঝিয়ে বলুন। তাকে জানিয়ে দিন যে অতিরিক্ত ইন্টারনেট আসক্তির কারণে তার ভবিষ্যত ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। তাকে ইন্টারনেটের নকল সম্পর্কের ব্যাপারেও সাবধান করে দিন।
পারিবারিক সময় বাড়িয়ে দিন

সন্তানের ইন্টারনেট আসক্তি দূর করার জন্য প্রয়োজন সন্তানের একাকীত্ব দূর করা। আপনার সন্তানকে প্রচুর সময় দিন। তাকে নিয়ে মাঝে মাঝে বাইরে বেড়াতে যান কিংবা কোনো খাবার দোকান থেকে খেয়ে আসুন। আপনার সন্তানের সাথে অবসরের সময়টাতে আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দিন সময়। তাহলে আপনার সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহার কমে যাবে অনেকটাই।
নজর রাখুন

আপনার সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহারের দিকে নজর রাখুন। ঘরের কম্পিউটারটি এমন স্থানে রাখুন যেখানে আপনি সবসময় যাতায়াত করতে পারেন। সন্তান ইন্টারনেট ব্যবহারের পর ব্রাউজারের হিস্টোরি চেক করে দেখুন সেখানে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য আপত্তিকর কোনো সাইটের ঠিকানা আছে কিনা।


(ওএস/এটি/ এপ্রিল ০৮, ২০১৪)