নিউজ ডেস্ক : গরম কালে শরীর ঠান্ডা রাখতে আমরা কত কিছুই না করি। কিন্তু যানেন কি কিছু যোগ ব্যায়াম নিয়মিত করলে অতি সহজেই শরীর ঠান্ডা রাখা যায়।

এতে শরীর যেমন ঠান্ডা থাকবে তেমনই আপনি শান্তি অনুভব করবেন। ভাবছেন যোগব্যায়াম করা খুব কঠিন? তাহলে জেনে রাখুন, এই ব্যায়াম গুলো একদম কঠিন নয়। যে কেউ অতি সহজে করতে পারেন। কিন্তু এই ৫ রকম ব্যায়াম আপনার শরীর শীতল ও মন শান্ত করে জাদুর মত কাজ করবে। এগুলোর মাঝ থেকে বেছে নিন একটি/দুটি, কিংবা করতে পারেন সবগুলোই।
শীতলি প্রাণায়াম:

কোন শান্ত পরিবেশে বসুন। এবার চোখ বন্ধ করে নিজের গোটা শরীরকে শিথিল করে নিন। শ্বাস প্রাশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। এবার আপনার জিভকে নিচের ঠোঁটে ঠেকিয়ে জিভকে ভাঁজ করে নিন। এবার মুখ দিয়ে গভীর নিঃশ্বাস নিন, মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। এই ভাবে অন্তত পাঁচ মিনিট করুন।

উপকারিতা-
এতে আপনার দেহের তাপমাত্রা কম হবে। এই প্রাণায়াম আপনার শরীরকে শুদ্ধ ও ডিটক্সিফাই করবে। এটি আপনার খিদে ও তেষ্টা বাড়াবে, এছাড়াও আপনার রাগকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং আপনাকে শান্ত করতে সাহায্য করবে।
শীতকারি প্রাণায়াম:

শান্ত কোন জায়গায় বসুন। পিঠ সোজা রাখুন, কাঁধ, হাত ও হাঁটু শিথিল রাখুন। চোখ বন্ধ করে সামান্য মুখ খুলুন এবং মুখের দুই চোয়ালের মাঝখানের ফাঁকে জিভ রাখুন। এবার মুখের ফাঁক দিয়ে নিশ্বাস নিয়ে নাক দিয়ে ছাড়ুন। এই প্রাণায়াম আপনার শরীর ও মনকে শান্ত করবে। বিকেলের দিকে এই প্রাণায়াম করা গেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

উপকারিতা-
এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপ বের করতে সাহায্য করে এবং তন্ত্রকে ঠান্ডা করে। রাগ, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্ত পরিশোধিত করে ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করে।
চন্দ্রভেদি প্রাণায়াম:

একটি শান্ত পরিবেশে বসুন। পিঠ সোজা ও কাঁধ শিথিল রাখুন। এবার ডান হাতের বুড়ো আঙুল ডান দিকের নাকের উপর রেখে নাকের বাঁদিক থেকে নিঃশ্বাস নিন। এবার ডানহাতের অনামিকা ও কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে বাঁদিকে নাক চেপে ডান দিকের নাক দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। ১০ থেকে ১৫ বার এমন করুন। এই প্রাণায়াম স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে।

উপকারিতা-
এটি রাগ ও মানসিক স্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবার পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে।
শবাসন:

শান্ত জায়গায় শুয়ে হাত ও পা দুপাশে রাখুন। হাতের তালু যেন উপরের দিকে থাকে। এবার চোখ বন্ধ করে গোটা শরীরের পেশি শিথিল করে রাখুন। সমস্ত চিন্তা মাথা থেকে বেক করে দিন এবং শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। এটিই সবচেয়ে সোজা আসন।

উপকারিতা-
এটি আপনার মন ও শরীরকে সতেজ রাখে। এটি সাধারনত শরীরচর্চার পরই রখা হয়ে থাকে। শরীরচর্চার কারণে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেশি থাকলে ভারী শরীরচর্চা না করাই ভাল। গরম কালে ভোরবেলা বা রাতের দিকে শরীরচর্চা করাই শ্রেয়।

(ওএস/এটিআর/জুন ০৬, ২০১৪)