স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর প্রবীণ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, জিয়া যখন বাজেট দিয়েছিলেন তা কি অনৈতিক ছিল না! যাদের নৈতিকতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে সেখানে আর যাই বলুক তারা নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না।

আসলে তাদের বলার কিছু নেই।তাই বাজেট সম্পর্কে তাদের মন্তব্য অবান্তর ও প্রতিহিংসামূলক।

শুক্রবার দুপুরে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমীর চলমান রাজনীতি শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অিতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আড়াই লাখ হাজার কোটি টাকার বজেট কোনদিন হয়নি। ১৭ কোটি দেশের মানুষের আরো বেশি বাজেট হওয়া প্রয়োজন ছিল। তাই তিনি বাজেট বাস্তবায়নে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগীতা প্রয়োজন।

সুরঞ্জিত বলেন, আমরা মধ্যম আয়ের দেশ নয়, মধ্যবিত্তের দেশে পরিনত হবো্। এটা শুধুই আমার কথা নয়। বিশ্বের সকল অর্থনীতিবিদরা তাই মনে করেন। এই বাজেটে যমুনা সেতুর চেয়ে একটি বড় পদ্মা সেতু হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের রাস্তা, পাতাল রেল, ঢাকার চারপাশে আন্ত:নগর ট্রেন চালু হবে। এই কাজগুলো শেষ হলে অবশ্যই বাংলাদেশ মধ্যবিত্তের দেশে পরিনত হবে।

তিনি বলেন, এদেশ স্বপ্ন’র দেশ। এ্খন প্রশ্ন আসেছ আাপনারা কি করবেন? কিন্তু আমরা প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৩ করতে চাই। যা আরো বেশি হওয়া উচিত ছিল। আপনাদের এতো ষড়যন্ত্রের পরেই প্রবৃদ্ধির হয়েছে ৬-এর ওপরে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ২৫ হাজারের বেশি বাড়ি ভাড়া হলে ব্যাংকে দিতে হবে।এটা না করে সকল বাড়ি ভাড়াই চেকের মাধ্যমে হওয়া উচিত ছিল। এই বাজেটে ঘাটতি কথা বলছেন, বেশি বাজেট হলে ঘাটতিতো হবেই। আজকে বি্এনপির গাত্রদাহ আমি বুঝি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে বড় বাজেট দিয়েছেন, আর আমরা পারলাম না। আপনারা হাজারের বই পড়েছেন। তাই লক্ষ কোটির টাকার বাজেট কিভাবে দিতে পারবেন না।

সরকার অসাংবিধানিক বিএনপি’র এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে সুরঞ্চিত বলেন, এই সরকার ১০০ ভাগ সাংবিধানিক। আপনারা না আসলে আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবোই।

সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মো. সেলিম এমপির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুণ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আসাদুজ্জামান দুর্জয়, সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ূন কবির মিজি প্রমুখ।

(ওএস/এটিআর/জুন ০৬, ২০১৪)