নওগাঁয় সরকারি গোডাউনে ধান-গম বিক্রি করতে কৃষকের ভিড়
নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সরকারি খাদ্য গুদামগুলোতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি ধান ও গম বিক্রি করতে গুদামে গুদামে কৃষকদের এখন উপচেপড়া ভিড়। কার ধান-গম আগে দিতে পারবে ঠিক এমন প্রতিযোগীতা যেন এখন প্রতিদিনের চিত্র। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় নওগাঁ সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসিএলএসডি) অফিস কক্ষে ছিল কৃষকদের লম্বা লাইন।
সেখানে গিয়ে দেখা গেলো, কৃষকরা তাদের কৃষি উপকরন সহায়িকা কার্ড দেখিয়ে কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করছেন। এই কৃষি উপকরন সহায়িকা কার্ড সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের দেয়া হয়েছে। এই কার্ডের উদ্দেশ্য হলো, প্রকৃত কৃষকরাই যেন তাদের উৎপাদিত ধান ও গমের সরকার নির্ধারিত ন্যায্য মূল্য ভোগ করতে পারেন। এসময় কথা হলো, উপজেলার বক্তারপুরের কৃষক আত্তাব আলী, কীর্তিপুরের মোতাহার হোসেন, হাঁসাইগাড়ির মকছেদ আলী, শিকারপুরের মজিবর রহমান ও হাঁসাইগাড়ির আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে।
তাদের মতে, সরকারিভাবে ধান ও গম সংগ্রহের সরকারি লক্ষ্যমাত্রা আরো বাড়ানো দরকার ছিল। ধান ও গমের ফলন ভাল হওয়ায় এবং বাজারের তুলনায় সরকার নির্ধারিত মূল্য বেশী পাওয়ায় তারা সরাসরি সরকারি খাদ্য গুদামে ধান-গম বিক্রি করতে পারছেন। এতে কৃষক হিসেবে তারা বেশ লাভবান হচ্ছেন বলেও স্বীকার করেন। গত ১০ মে নওগাঁ সদর খাদ্য গুদামে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে বোরো ধান ও গম ক্রয় কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। চলতি বোরো মৌসুমে নওগাঁ জেলায় সরকারীভাবে ২৩টাকা কেজি দরে ২৬ হাজার ৫৪৫ মেঃটন ধান ও ২৮টাকা কেজি দরে ৯হাজার ৪৫২ মেঃটন গম কেনার কর্মসূচী নেয়া হয়েছে।
এরমধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ২হাজার ৫৫২ মেঃটন ধান ও ২৮৯ মেঃটন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে বলে সদরের ওসিএলএসডি অরুন কুমার প্রামানিক নিশ্চিত করেছেন। এদিকে মঙ্গলবার (২৪মে) পর্যন্ত জেলায় ২৭০ মেঃটন ধান ও ৩ হাজার মেঃটন গম সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১৮৮ মেঃটন ধান ও ২৭৯ মেঃটন গম সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
(বিএম/এএস/মে ২৪, ২০১৬)