রায়পুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় দক্ষিন চরবংশীতে চলতি বর্ষা মৌসুমে কাল বৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সহায়তা পায়নি।

তালিকা তৈরীর সময় ৮নং ইউপি বিএনপি নেতা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিয়ে নিজের আত্মীয়-স্বজনদের তালিকাভুক্ত কারে তাদের সুবিধা দেয়ায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা সব হারিয়ে অদ্যাবধি মানবেতর জীবন যাপনকরছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীদের মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।

জানাযায়, উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলেও ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সহযোগীতা পায়নি। গত ১৫ মে বিকেলে ঘূর্নিঝড়ে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়িবাধের দু’পাশ ও আশপাশ এলাকায় পাঁচ শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরদিন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যায় এবং প্রশাসনের পক্ষ ২০৯ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা ছিল।

কিন্তু ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ হাওলাদার প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নাম না দিয়ে তার আত্মীয়-স্বজন ও বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের ২০ কেজি করে চাল দেয় বলে অভিযোগ করে ক্ষতিগ্রস্তরা। এঘটনায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে।

সংশ্লিষ্ঠদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঝড়ে যাদের ঘর-বাড়ি সব চেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে-এমন ২৫ টি পরিবারের তালিকা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে চেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তাদেরকে ২ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যান স্বজন-প্রীতির মাধ্যমে তার কাছের লোকদের নাম ওই তালিকার অন্তভূক্ত করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট জমা দিয়েছে।

অথচ চরকাচিয়া গ্রামের মোল্লার হাট বেড়ি বাধের পাশে সাহাব উদ্দিন মাঝির বসত ঘরটির ব্যাপক ক্ষতি হলেও তার নাম তালিকায় দেয়া হয়নি। আর্থিক সংকটের কারনে তিনি ঘরটি মেরামতও করতে পারছেনা। বর্তমানে ঘরের চালের ওপর টিন না থাকায় ছেলে- মেয়ে নিয়ে ওই পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। এজন্য তার স্ত্রী খালেদা বেগম প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। সরকারের জমির উপরে বেড়ি বাধের পাশে কোন মতে দিন কাটাই। এখন ঘর ঠিক করবো কি করে?

এ ব্যাপারে দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ হাওলাদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ঠিক না। আমি কোন অনিয়ম করিনি।

(পিকেআর/এটিআর/জুন ০৬, ২০১৪)