‘চট্টগ্রামে নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে’
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, নজরুল ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। বুধবার দুপুরে নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান মন্ত্রী।
জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নজরুলের স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রামে নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হলে এর মাধ্যমে নজরুল সাহিত্য চর্চার প্রচার ও প্রসার ঘটবে প্রত্যাশা করে মন্ত্রী বলেন, নজরুল স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গা পেলেই নির্মাণকাজ শুরু হবে।
১৯২৬, ১৯২৯ ও ১৯৩২ সালে নজরুল চট্টগ্রাম এসেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখানকার নদী, পাহাড় ও প্রাকৃতিক পরিবেশ তার লেখনিতে ফুটে উঠেছে। তাই তার স্মৃতিধন্য চট্টগ্রামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
নজরুলের লেখনি আজও প্রেরণার উৎস হয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কোন আন্দোলন সংগ্রামের সাথে আছেন নজরুল। মুক্তিযুদ্ধে নজরুলের লেখা গান-কবিতা উজ্জীবিত করেছে।
‘নজরুলের গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তাকে স্বাধীন দেশের জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। তাকে দেশে এনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।’
দেশ স্বাধীন হলেও ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আজন্ম সাম্যের মন্ত্রে উজ্জীবিত কবি মানবতার জয়গান গেয়েছেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবিকে খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন ও চর্চার চেষ্টা হয়েছে। অশুভ শক্তি এখনও সক্রিয়। সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবে মসজিদের ইমাম, যাজক, বুদ্ধিজীবী ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি তিনি। অনুষ্ঠানে আসতে না পারলেও বাণী পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির পক্ষে সেই বাণী পাঠ করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম আকতারী মমতাজ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পৌত্রী বেগম খিলখিল কাজী, কবি সাংবাদিক আবুল মোমেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
(ওএস/এএস/মে ২৫, ২০১৬)