ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : নির্বাচন পার হবার ১৯দিন অতিবাহিত হলেও পরাজিত মেম্বর প্রার্থীর লোকজনের কারণে একটি গ্রামের সংখ্যালঘু ভোটাররা পড়েছেন বিপাকে। ওই সব পরিবারের ভোটাররা হাট-বাজারে যেতে পারছে না। এমনকি তাদের সন্তানরাও স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না।

অভিযোগে জানা যায়, গত ৭মে চতুর্থ ধাপে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়। এরমধ্যে সদর উপজেলার ২নং আখানগর ইউনিয়নেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আখানগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে মেম্বর প্রার্থী মোর্শেদ আলম লালু পরাজিত হন। আর বিজয়ী হন মুনিরাম বর্মন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে মেম্বার প্রার্থী লালু ও তার কর্মী সমর্থকরা বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী সমর্থক ও তাদের দৌলাপাড়ার লোকজনকে হাট-বাজারে যেতে দিচ্ছে না।

বিজয়ী মেম্বার মনিরাম জানান, আখানগর বাজার তাদের বাড়ির নিকটবর্তী বাজার। কিন্তু ভোটের পর থেকে দৌলাপাড়ার লোকজন আখানগর বাজারে যেতে পারছে না। কারণ ওই বাজারে যেতে লোকজনকে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী লালুর বাড়ির পাশ দিয়ে যেতে হয়।

লালুর বাড়ির পাশে গেলে তার কর্মী সমর্থক ও পরিবারের লোকজন হাটুরেদের রাস্তা থেকেই ফেরত যেতে বাধ্য করছে। দৌলাপাড়ার উপেন নামে একজন ভোটরকে বাজারে যেতে না দিয়ে রাস্তা থেকে ফেরত পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, কয়েকদিন পূর্বে নূর ইসলাম নামে আমার একজন নির্বাচনী এজেন্টকে রাস্তায় আটক করে মারপিট করে লালু ও তার সমর্থকরা।

ধরনী বর্মন নামে গ্রামের একজন জানান, শুধু ভোটাররাই নয়, গ্রামের স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও স্কুলে যেতে পারছে না।

এ ঘটনায় গ্রামের লোকজন এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বুধবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে।


(এফআইআর/এস/মে২৭,২০১৬)