শরীয়তপুর প্রতিনিধি : নৌকার দেশ বলে পরিচিত শরীয়তপুর জেলার জাজিরা । সেই জাজিরার জয়নগর ইউনিয়নে জয় পেলনা নৌকা। নির্বাচনের ফলাফল শেষে মাঝিসহ সে নৌকা কোথায় যে হারিয়ে গেল কেউ আর খুঁজে পেল না। ফলে শোচনীয় পরাজয়ের গ্লানি বইতে হচ্ছে ক্ষমতাশীন দলের নেতা কর্মীদের।

স্বাধীনতার আগ থেকেই নৌকার ঘাটি বলে পরিচিতি ছিল জেলার জাজিরার জয়নগর ইউনিয়নের। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এসে এক সময়ের আওয়ামীলীগের কান্ডারী ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে দলের অপর কর্মী এক নারী সমাজ সেবিকাকে করা হলো নৌকার প্রার্থী। সেখানে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি সহ ৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। পুরো নির্বাচনী মৌসুম জুড়েই নৌকার প্রার্থী নাসরিন আক্তারকে দেখা গেছে পুরো ইউনিয়ন চষে বেড়াতে। নির্বাচনের দিন ও সে দাপটের সাথে ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র। এমনকি তার নিজের বাড়ির সামনে অবস্থিত জয়নগর জুলমত আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র যেখানে ভোটার সংখ্যা ১,৬৫০, সেখানে ও তাকে দেখা গেছে দিনের বেশীরভাগ সময় অবস্থান করতে।

ঘড়ির কাটায় ঠিক যখন বিকেল ৪টা, নিয়ম অনুযায়ী ভোট গ্রহন বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ দুই ঘন্টা ভোট গণনা শেষে ৯টি কেন্দ্রে ভোটের ফলাফলে নৌকা প্রতীকে ভোটের প্রাপ্ত সংখ্যা দেখা গেল মাত্র ১২০ । স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী পেয়েছেন ৪ হাজারেরও অধিক ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অপর স্বতন্ত্র প্রার্থীও ভোট পেয়েছেন প্রায় ৪ হাজার।

জাজিরা উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, জয়নগর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৪৫৬। ভোট প্রয়োগ করেছে ৮ হাজার ২৮৮ জন। স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা এবং জাজিরা উপজেলার একমাত্র নারী প্রার্থী আজন্ম আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান ও আওয়ামী পরিবারের পূত্রবধূ হয়ে নৌকার মাঝি নাসরিন আক্তারের এ শোচনীয় পরাজয় ভাবিয়ে তুলেছে শরীয়তপুরের সচেতন মহলকে।

জাজিনা উপজেলা আওয়ামীলীগ সূত্রে জানাগেছে, তৃণমূল, উপজেলা ও জেলা কমিটির বিবেচনায় নাসরিন আক্তারের যোগ্যতা বিবেচনা করেই তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল।



(কেএনআই/এস/মে২৯,২০১৬)