কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : আকাশে মেঘ দেখলেই কাপাসিয়া উপজেলার ৩৯ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠছে। র্দীঘ দেড়মাস ধরে চলছে এ বিদ্যাৎ তে খেলা। এ দুভোগে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। এ যেন বাংলাদেশ থেকে বিছিন্ন এক জন পথ।

সূত্র জানান, কাপাসিয়ার ৫টি ইউনিয়নে ৩৯ হাজার বৈধ গ্রাহক রয়েছে। জেলার সালনা গ্রীড থেকে ১৯৩ মেগাওয়াড চাহিদার তুলনায় ১৫০ মেগা: কাপাসিয়ায় প্রতিদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২-১৩ ঘন্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। কোন কোন এলাকায় ২-৩দিন বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে উপজেলা ছোট বড় কারখানগুলো লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাছাড়া স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের লেখা পড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। রাতে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে এলাকায় চুরি ডাকাতি চরম আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল টাওয়ার গুলো অচল হয়ে পড়ছে। বিদ্যুৎতের অভাবে আইপি এস গুলো চার্জ হচ্ছে না। ফলে এলাকায় রাতে ভুতুরের রাজ্যে পরিনত হয়ে পড়ে। এ যেন দেখার কেউ নেই।

প্রশাসনের সর্বন্তরের কর্মকতারা এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না, কারও যে কোন দায়িত্ব নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার কারনে এলাকার সাধারন গ্রাহকরা ফুসে উঠছে যে কোন সময়ে বিদ্যুৎ অফিসে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। কাপাসিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বি এন পি ঘেষা কতিপয় বিদ্যুৎ কর্মকতা সরকার বিদ্যুৎ দিচ্ছেনা বলে সাধারণ গ্রাহকদের ক্ষেপিয়ে তোলার চেস্টা করছে বলে ও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কাপাসিয়া বাজারে ব্যবসায়ী মো: মনির হোসেন খান বলেন,বর্তমান ডিজি এম কাপাসিয়া যোগদানের পর থেকে বিদ্যুৎতের এ টালবাহানা চলছে। এক বার বিদ্যুৎ চলে গেলে কখন আসবে তা খোদ বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকতারা ও বলতে পারে না।

কাপাসিয়া বাজারের শাহ আলম প্রধান বলেন,বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বরত কর্মকতারা বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে গ্রহকদের বর্তমান সরকারে বিরুদ্ধে উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তাছাড়া এজিএম,ডিজি এম র মোবাইল ফোন অধিক সময় বন্ধ করে রাখে। কি কারনে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যার তার কোন সুদউত্তর কর্মকতা দিতে পারচ্ছে না।

জান্নাতুল খাতুন নামে এক মহিলা গ্রাহক বলেন, সকালে বিদ্যুৎ চলে যায় কখন আসবে কেউ জানে না। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া দারুন ভাবে ক্ষতি হচ্ছে যা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায় না।

কাপাসিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজি এম বলেন, ঝগো আবহাওয়ার কারনে ,বিদ্যুৎতের খুটি,তার ছিড়ে যাওয়ার কারনে কাপাসিয়ায় ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে বলে তিনিি দাবী করেন। তিনি বলেন আমার কর্মচারী রাতদিন কাজ করে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক রাখতে পাচ্ছি না।

গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি এম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে প্রথমে রাজি হননি পরে তিনি বলেন, কি কারনে কাপাসিয়া বিদ্যুৎ থাকে না সেটা কাপাসিয়ার ডিজিএমই ভাল বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারব না বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান।