স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য প্রযুক্তি সেবা খাতে সক্ষমতা বাড়াতে ১৮ হাজার কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিচ্ছে নেদারল্যান্ড সরকার।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস(বেসিস), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসি), বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) এবং নেদারল্যান্ড এর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিবিআই যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পের এই অর্থ বাংলাদেশের নির্বাচিত ১১টি নির্বাচিত ব্যবসায় ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে। এই অর্থ দিয়ে মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, বিগ ডাটা এবং গ্রাফিক্স খাতের উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড সম্মেলনে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তির কথা জানানো হয়। উইন্ডি টাউন হলে ‘দ্য নেদারল্যান্ড ট্রাস্ট ফান্ড থ্রি. বাংলাদেশ প্রজেক্ট লঞ্চিং’ চুক্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক (এমপি), বেসিস সভাপতি শামীম আহসান, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের হাইকমিশনার গারভেন সোর্ড ডি অং, সিবিআই প্রতিনিধি প্রফেসর রব ভ্যান, ডিসিসিআই সহ-সভাপতি ওসামা তাসির, আইটিসি ব্যবস্থাপক ম্যাথিয়াস ন্যাপি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বেসিস পরিচালক ফাহিম মাশরুর।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতিতে উন্নয়নে এর আগে এনটিএফ১ এবং এনটিএফ২ যেমনি ভাবে সহায়তা করেছে ঠিক তেমনি ভাবে এই এনটিএফ থ্রিও সক্ষম হবে। যা আমাদের দেশের প্রযুক্তি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়ক হবে। আর মাধ্যমে আমরা প্রায় এক কোটি তরুণের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবো। যেখান থেকে আমরা আয় করতে পারবো প্রায় একশ কোটি ডলার।

অনুষ্ঠানে প্রফেসর রব ভ্যান বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রযুক্তিতে পরিবর্তনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে অনন্য উদাহরণ।

ম্যাথিয়াস ন্যাপি বলেন, দু’ দেশের মধ্যকার স্বাক্ষরিত এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রযুক্তি খাতে উন্নয়নে সক্ষম হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের মধ্যকার সম্পর্কে নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ২০১২- ১৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশ প্রযুক্তি খাতে আয় করেছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। তথ্য প্রযুক্তিতে আমাদের জন্য অনেক বড় সাফল্য। তবে আগামী পাঁচ বছরে এ খাত থেকে আমরা প্রায় ৫০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে সংযুক্ত করতে পারবো।


(ওএস/এটিঅার/জুন ০৬, ২০১৪)