নিউজ ডেস্ক : দেশী ফলের সমারোহ এখন বাজার জুড়ে।  রয়েছে আম, কাঠাল, জাম ও লিচুসহ আরো অনেক সুস্বাদু ফল। দেশী ফলের ভেতরে জামের কদর রয়েছে বেশ। `পাকা জামের মধুর রসে` মুখ রাঙ্গাতেভালোবাসেন অনেকেই। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি শুধু দেখতেই সুন্দর না, এর রয়েছে অসংখ্য গুণও। তাহলে জেনে নেয়া যাক-

জামের মধ্যে পাওয়া ইলাজিক নামক অ্যাসিড ত্বককে করে শক্তিশালী। ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বক ও চুলকে রক্ষা করে। এই ইলাজিক অ্যাসিড ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

জাম হৃৎপিণ্ডের অসুখ, জরায়ু, ডিম্বাশয়, মলদ্বার ও মুখের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
জামে গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে যা মানুষকে কাজ করার শক্তি জোগায় ।
জামের ভিটামিন ‘এ’দৃষ্টিশক্তিকে করে শক্তিশালী।

থাকা ভিটামিন ‘সি’ গরমে ঠাণ্ডাজনিত জ্বর, কাশি ও টনসিল ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে। দূর করে জ্বর জ্বর ভাব। আর দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতেও এর অবদান অপরিসীম।
বৃদ্ধ বয়সে চোখের অঙ্গ ও স্নায়ুগুলোকে কর্মময় করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশুদের জন্যও এই ফল ভীষণ উপকারী।

ক্যানসারের জীবাণু ধ্বংস করার জন্য জামে রয়েছে চমকপ্রদ শক্তি। জাম মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকরী।

বয়সের সঙ্গে মানুষের স্মৃতিশক্তি হারাতে তাকে। জাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম ভীষণ উপকারী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে জাম।

দীর্ঘ দিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মলদ্বারে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জামের বাইরের আবরণে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। আঁশজাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। জাম মলদ্বার বা কোলনের ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

জামের কচিপাতা পেটের পীড়া নিরাময়ে সাহায্য করে। জামের বীজ গুড়া করে বহুমুত্র রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

পাকা জামে বিট লবণ মাখিয়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা রেখে ছেঁকে রস বের করে নিন। এই রস খেলে পাতলা পায়খানা, অরুচি ও বমিভাব দূর হয়।