নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : মধুমাস জৈষ্ঠ্য। এ মাসে গরমের তীব্রতা বেশি হলেও রয়েছে ভিন্ন কিছু। জৈষ্ঠ্য মাস মানেই আম, জাম, কাঁঠাল ও লিচুর ছড়াছড়ি। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বগুড়ার নন্দীগ্রামে আসে মধু মাসের রসালো ফল। রঙে রসালো হলেও আতঙ্কেরও শেষ নেই। চোখ নাড়লেই, ফরমালিন। যার কারণে মধুর ফলও বিষে পরিণত হয়।

সূত্র মতে, গত কয়েক বছর ধরে পৌর শহরসহ উপজেলার কুন্দারহাট, রণবাঘা, সিমলা বাজার, হাটকড়ই, পন্ডিতপুকুর, ধুন্দার বাজারের ফলের দোকানগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে ফরমালিনযুক্ত ফল ধ্বংস করার দৃশ্য ও অর্থদন্ড করতে দেখা গেলেও ফরমালিনযুক্ত ফল বেচাবিক্রি থেমে ছিলনা।

রমজানের আগেই বাজারগুলোতে ফরমালিনযুক্ত ফলের ছড়াছড়ি। ফলে সাধারণ মানুষ দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। ফরমালিন পরীক্ষণের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এর কোন প্রতিফলন ঘটছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন সচেতন মহল।

বর্তমানে বাজারে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, খেজুর, আপেলসহ রসালো ফলগুলোতে ফরমালিনের ছড়াছড়ি শুরু হলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের তেমন কোনো তদারকি নেই। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ফল বিক্রেতাদের অর্থদন্ড করায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পৌর শহরের স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডে ফল ক্রয় করতে আসা ক্রেতা মাসুদ পারভেজ রানা, আরিফুল ইসলাম ও রমজান আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, বাজারে নতুন ফল আম, জাম, লিচু এসেছে, তাই পরিবারের চাহিদার কথা ভেবে কিনে নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এগুলো কতটুকু ভেজাল ও ফরমালিনমুক্ত তা জানার কোন উপায় নেই।

বাধ্য হয়েই ফল ক্রয় করতে হচ্ছে। তবে ফল খাওয়ার সময় ফরমালিন আতঙ্কে থাকতে হয়। আমের কালার সুন্দর এবং দ্রুত পচন রোধে ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বাজারের ফলে ফরমালিন আছে কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য বিক্রেতাদের কাছে ফরমালিন চিহ্নিতকরণ যন্ত্র থাকার কথা থাকলেও বাজারের কোথাও চোখে পড়েনি। কয়েকজন ফল বিক্রেতা জানিয়েছেন, ক্রেতারা ফল কিনতে এসে আসলটার রং দেখে কিনতে ইতস্ত বোধ করেন। কেমিক্যাল দেয়া ফলগুলোই বেশী নজর কাড়ে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফুন্নেসা জানান, আমি সবেমাত্র এউপজেলায় যোগদান করেছি। তবে দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অসাধু ফল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। রমজানে ফলের দোকানগুলোতে নিয়মিত তদারকি অব্যহত থাকবে। মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে রোজাদার ব্যক্তি যেন ফরমালিনযুক্ত ফল ক্রয় করতে না হয়, সেদিকে নজর থাকবে।

(এমএনআই/এএস/জুন ০৬, ২০১৬)