বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া মসজিদে হামলা মামলার আসামি জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য মো. কাউসার আলী (২৫) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। নিহত কাউছার জয়পুরহাটের কমর গ্রামের আমির আলীর ছেলে। বুধবার ভোররাতে শিবগঞ্জের বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের জামতলী ব্রিজের কাছে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি গুলি খোসা, ৫টি হাতবোমা, ২টি ছোরা ও একটি চাপাতি উদ্ধার করেছে।

পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) গাজিউর রহমান জানান, নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন (জেএমবি) সদস্যরা মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যেকোনো সময় শিবগঞ্জ উপজেলার কোন একটি স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল শিবগঞ্জ-পীরব সড়কের বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের জামুরহাট-জামতলী ব্রীজের কাছে অবস্থান নেয়। ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে ৩/৪ জন যুবক ব্যাগ হাতে ব্রীজের কাছাকাছি এলে পুলিশ তাদের থামতে বলে। এ সময় ওই যুবকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ৩/৪টি হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে জেএমবি সদস্যরাও গুলি করতে করতে পালাতে থাকে। গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুলিবিদ্ধ জেএমবি সদস্য কাউছারকে আটক করে পুলিশ। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, পরবর্তীতে সংরক্ষিত ছবি দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে নিহত যুবক জেএমবি সদস্য এবং সে শিয়া মসজিদে বন্দুক হামলায় সরাসরি জড়িত ছিল। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুই কনস্টেবল আবু রায়হান ও আলতাফ হোসেন হাতবোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছে। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত জেএমবি সদস্যের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গেপাঠানো হয়েছে।

২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের হরিপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শিয়া মসজিদে মাগরিবের নামাজের পর সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা মুসল্লিদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। এতে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম হোসেন (৭০) মারা যান। গুলিবিদ্ধ হন আরও ৩ জন।

এ ঘটনার পর জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইনটেলিজেন্স হামলায় আইএস দায়ি বলে দাবি করে।

(ওএস/এএস/জুন ০৮, ২০১৬)