প্রবীর সিকদার


বিএনপি-জামায়াত সরকারের ২০০১-২০০৬ মেয়াদে অনেকটাই জঙ্গিদের স্বর্গ রাষ্ট্র হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। দেশ-বিদেশের জঙ্গিরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। ভয়ংকর ওই সময়ে দেশের নাগরিক সমাজের এতোটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল না, যতোটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দেখা যাচ্ছে।

যখন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী জঙ্গিদের বিচার ও ফাঁসি হচ্ছে, জঙ্গিদের মূল মদদদাতা বিএনপির প্রাণ ওষ্ঠাগত, সারাদেশে জঙ্গি বিরোধী তৎপরতা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে লক্ষণীয়ভাবেই অনেক বেশি, তখন নানামুখী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি হতাশ করে দেয়। আমি মানছি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যে সরকার জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার, সেই সরকারকে সহযোগিতা করবার মানসিকতা আমাদের কোথায়? পুলিশের জঙ্গিবাদ বিরোধী কঠোর অবস্থানের কারণেই চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন সাহসী পুলিশ অফিসার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। শুধু উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশই যথেষ্ট নয়, এই সময়ে শেখ হাসিনার সরকারের পাশে দাঁড়ানোটা অনেক বেশি জরুরি।

সবাইকে মনে রাখা জরুরি, অদূর ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আওয়ামীলীগ সরকারের চেয়ে বেশি কোনো জঙ্গিবাদ বিরোধী সরকার ক্ষমতায় আসার কোনই সম্ভাবনা নেই। এই সরকারের জঙ্গিবাদ বিরোধী অবস্থানকে আরও বেগবান করতে পারে নাগরিক সমাজের আরও সক্রিয় সমর্থন। নাগরিক সমর্থন আরও সুদৃঢ় করা গেলে এই দেশ থেকে জঙ্গি ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা কোনো কঠিন কাজ নয়।

অতএব এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। আসুন আমরা সব রকমের সংকীর্ণতা ভুলে শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে সহযোগিতা করি এবং একাত্তরের অর্জন প্রিয় বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করি।

(অ/জুন ০৮, ২০১৬)