গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও  গ্রামের স্বামী হামিদ উল্লাহ নামে একজনকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

৮জুন বুধবার গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ,কে, এম, এনামুল হক এই রায় দেন।

মামলার বিবরনে জানা যায়, কাপাসিয়া উপজেলার বাঘিয়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে হোসনেয়ারা বেগমকে একই উপজেলার তরগাঁও গ্রামের মৃত আ: শাহিদ এর পুত্র হামিদ উল্লার সাথে ২০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ১টি ছেলে ও ২টি মেয়ে সন্তানও রয়েছে।

হত্যার ঘটনার বছর খানের আগে থেকে হামিদুল্লার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে দূর্ব্যবহার করতো। ১৮জানুয়ারী ২০১০ তারিখ রাতে স্বামীর মা'র(শ্বাশুড়ী) সাথে হোসনেয়ারা বেগমের ঝগড়া হয়। এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাতে গলা টিপে শ্বাসরদ্ধ করে হত্যার পর হোসনেয়ারা বেগমের লাশ ধান ক্ষেতে আইলের নিচে পুঁতে গুম করে। ঘটনার কয়েক দিন পর ২৭ জানুয়ারি ঘটনা জানাজানি হয়। বোন হত্যার বিচার চেয়ে হোসনেয়ারা বেগমের ভাই মো. জামাল উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে হামিদুল্লাহ সহ চার জনকে আসামী করে কাপাসিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

পুলিশ তদন্ত শেষে স্বামী হামিদুল্লাহকে অভিযোক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। আজ বুধবার গাজীপুর জজ আদালতের বিচারক এ, কে, এম, এনামূল হক পেনাল কোর্ডের ৩০৪ ধারায় হামিদ উল্লাহ কে ১০(দশ) বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি মো: হারিছউদ্দিন আহম্মেদ ও আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মো: শহীদুল ইসলাম ।



(আরএইচ/এস/মে০৮,২০১৬)