বরিশাল প্রতিনিধি : শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার মুখে শনিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা। এতে অচল হয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ওপর শিক্ষার্থীদের হামলার প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা করছে ববি’র অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন, কর্মকর্তা পরিষদ এবং কর্মচারি কল্যাণ সমিতি।
অন্যদিকে ১৩ দফা দাবি আদায়ে আল্টিমেটামের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফয়সাল মাসুদ রুমি জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় শিক্ষার্থীদের হামলায় সহকারী রেজিস্টারসহ চার কর্মচারি আহত হয়। এ সময় রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর করে শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারি ঐক্য পরিষদ।

অন্যদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তানভীর কায়সার বলেন, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্র ও শনিবার শিক্ষকরা ছুটি ভোগ করেন। এতে শিক্ষকরা বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজ করতে পারেন। কিন্তু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ছুটি না দিয়ে শুক্রবার বিশেষ ক্লাস আর শনিবার রুটিন মাফিক ক্লাস করাচ্ছে।

তানভীর কায়সার আরও বলেন, শিক্ষকরা বেতনের পাশাপাশি বিভিন্ন ভাতা পায়। কিন্তু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি প্রভাবশালী কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন যারা শিক্ষকদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেন। এ বিষয়গুলোর সুষ্ঠু সমাধানের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

এদিকে এক শিক্ষক অভিযোগ করেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফিসহ অন্য সব খাতের টাকা বিভাগে থাকবে। কিন্তু ফি আদায়ের পর সব টাকা ভিসি নিয়ে যান। এছাড়া ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন । সব বিভাগেই তার আত্মীয় কর্মরত। ভিসির বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে আর অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বাড়ি পটুয়াখালী ও বাউফলে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ খান বলেন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের দাবি জানতে পেরেছি। উত্থাপিত দাবিগুলোর কিছু মেনে নেয়া হয়েছে এবং কিছু দাবি সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা করে শিগগিরই সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

(ওএস/জেএ/জুন ০৭, ২০১৪)