টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের নিকরাইল এলাকায় সংখ্যালঘু মুক্তিযোদ্ধা মথুরা চন্দ্র দাসের ১২ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন স্থানীয় আজিজুল হক ওরফে মিন্টু মাস্টার। আর ওই জমি ফেরত পেতে মুক্তিযোদ্ধা মথুরা দাস উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন।

জানা যায়, উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের নিকরাইল গ্রামে নিজের পৈতৃক জমিতে বসবাস করে আসছিলেন দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা মথুরা চন্দ্র দাস। তাঁর ওই সম্পত্তির ওপর কুনজর পড়ে স্থানীয় আজিজুল হক ওরফে মিন্টু মাস্টারের। তিনি মথুরা দাসকে অন্যত্র জমি ও ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেয়ার নাম করে নিকরাইল মৌজার ৩৬৪ নং দাগের ১২ শতাংশ জমি দখল করে নেন। বর্তমানে ওই জমিতে মিন্টু মাস্টার টিনশেড ভবন নির্মাণ করে বসবাস করছেন। আর অসহায় মুক্তিযোদ্ধা মথুরার স্থান হয়েছে অন্যের জায়গায়।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় এ বিষয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাননি তিনি। সম্প্রতি মথুরা চন্দ্র দাস নিজের নামে রেকর্ডকৃত ভূমি ফিরে পেতে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের নিকট একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন। স্থানীয় একাধিক মুক্তিযোদ্ধা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আজিজুল হক মিন্টু মাস্টার যে জমিতে বসবাস করছেন ওই জমির সিএস, আরএস, খাজনা ও খারিজ সবই মথুরার নামে। সংখ্যালগু পেয়ে তিনি অবৈধভাবে ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে আজিজুল হক মিন্টু মাস্টার বলেন, ৩৬৪ নং দাগের জমি মথুরার এটা সত্যি। তবে তাকে আমি বাড়ি করার জন্য জায়গা দিয়েছি। সে অযথা আমাকে হয়রানির চেষ্টা করছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আব্দুল মজিদ মিঞা বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি আজিজুল হক মিন্টু মাস্টার যে জমিতে বাড়ি করেছেন তার সকল কাগজপত্র দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা মথুরা চন্দ্র দাসের নামে। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে জমি উদ্ধারের জন্য আমরা একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেন, অভিযোগের কপি এখনো হাতে পাইনি। কপি হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এমএনইউ/এএস/জুন ০৯, ২০১৬)