যে শব্দস্রোতেও নিরুত্তাপ ৮০


শব্দহীন অথচ নৈঃশব্দ্য নয় এমন শব্দ শুনে নিয়ে আজ
মুখোমুখি গদগদ নীরব অথচ পিছনে হাতে হাতে নাক্ষত্রিক কাঠি
আমি নই, অজুহাত চুরি করেছে আমার হাত,টিআরপি টলোমলো সমাজ
বিশ্বাসী থাকা সম্পর্কে শব্দের রূপভেদ জেনো আত্মঘাতী


এখন সময় মতবিনিময় নয় হাত তোলাই হীরক সংহতি
এখানে আমার নির্জনতা নিবিড় বিচ্ছেদ বিপন্নতায় গাঁথা উপচার
জানি তুমিও খাঁটি স্বর্ণকার মায়ের গয়নাও নিস্তরঙ্গ সওদা বিশ্বাসী
আমি ফুল শিশু গানওয়ালাও নই সামান্য পরিণতিই আমার আচার


জীবন ঈশ্বর কণামাত্র নয় বিচিত্র এক অনিয়মের বল্গাহীন ঘোড়া
কেউ কেউ তবুও থাকেন আপোসহীন নেশাতুর রাতভর দিতে হুঁশ
যেকোনো মঞ্চ কিংবা ইঞ্চি জমিন ঝান্ডা মোড়া সময় দখলদার শুকতারা
বিশ্বাস বিশ্বসংসার যেকোনো অশ্বমেধের লাগাম অন্যকোন লব কুশ


ধারণায় শব্দ লাবণ্যময় তবুও অন্তঃপুর অনন্ত প্রাণময় মৃত্যুর ছয়লাপ
হে সমালোচক,ঈশ্বর আমার আকুল ইচ্ছা এই শ্রাবণে হোক আমাদের আলাপ


অনির্দিষ্টের প্রতি

কোন কোন শব্দের শোধ নাহওয়া ঋণ মনে থাকলে নীরবতা এত আগ্রাসী হয়ে উঠতো না।
আসলে সব ভুলে যাওয়া তো আর পবিত্র হয় না!!!
কোন কোন লাটাই ঘুড়ি আকাশে বেশি হয়ে গেলে শুরুর বাতাস আর কাগজের গানের কথা মনে রাখে না।
আমার এমনটাই বিশ্বাস....

হে স্মরণ!!!



যে শব্দস্রোতেও নিরুত্তাপ ৮২


কত শব্দ রাংতা মোড়া হাতে, হাত ছুঁয়ে মনখারাপ মুছে বর্ষাকাব্য!
যে স্বাদে দৃশ্যতই অতিক্রম যৌথবেলা অপচয়,গার্হস্থ্যের আহ্বান।
শ্রাবণ জানে ঝিরঝির আর ধুলোমেঘ মৃত্তিকার শস্যস্বপ্ন সম্পৃক্ত।
অবিরল জলরং, কুচিকুচি মেঘলা তুলির সীমান্ত বুঁদ হয়ে বাউলের গান।


পদ্ম-দিঘির ঘাট,মেঘ-বৃষ্টির পরিচর্যা সময়ের স্রোতে নয় মৃত।
এক আকাশ ভরা বিজন বিষাদ জেনো সৃষ্টির অন্তর্গত মান্দাস...
রোদ্দুর,আহত নদী তীরে আজও অচেনা মেয়ের স্বপ্নেরা জীবিত।
অপেক্ষা নয় কলমেই সহজ জানি আমার বন্ধ চোখের বিশ্বাস.....


চাঁদিয়াল ভাসাভাসা,শুনশান আকাশ তোমার নিঃভৃতে মোমবাতি।
আসলে জানোই না!!আমার শূন্যতা থই থই প্রিয়তম অন্ধকার.....
শ্রাবণ কিভাবে জানবে বলো, তোমার গোপন বৈশাখের মাতামাতি?
এ সামান্য জীবন জানে নিয়ম রোহিত অস্তিত্ব কখনও,কখনও নিরাকার।

মেঘরোদ সাজি শ্রাবণের টলোমলো কালো আর কান্নার নয় দোষ।
আমি!!আসলে ধরে নিতে পারো, কেউ নই! পথভোলা এক আপোস.........


(j/এস/জুন ১১,২০১৬)