শেখ আহ্সানুল করিম, বাগেরহাট :বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ও রামপাল উপজেলার ওপর দিয়ে শনিবার দুপরে বয়ে যাওয়া কালবৈশেখি ঝড়ে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত ও আহত হয়েছে ১০জন। ঝড়ের সময়ে বজ্রপাতে মোড়েলগঞ্জ ও ফকিরহাটে ২ জন মারা গেছে ও গুরুতর আহত হয়েছে ২ কৃষক। এসময় ৫টি গরু মারা গেছে। কয়েক হাজার একরের কলা বাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। গাছ পড়ে একাধিক স্থানে সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কালবৈশেখি ঝড়ে সময়ে চিংড়ি ঘের ও মাঠে কৃষি কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহতরা হলো, মোড়েলগঞ্জের পূর্বচন্ডিপুর গ্রামের ইউনুস খানের ছেলে আলামীন খান (৩৫০ ও রামপাল উপজেলার মানিকনগর গ্রামের আজম শেখ (৫০)। ফকিরহাটে বজ্রপাতের সময়ে আহত কালিকাবাড়ি গ্রামে মধু শেখ (৬৫) এবং মোল্লাহাটে খান জাহান আলী (৫০) নামে দুই কৃষককে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকের কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বজ্রপাতে রামপালের চাকশ্রী বাজার এলাকায় ফরহাদ খানের দুটি এবং মোড়েলগঞ্জের লিটন মালাকারের একটি ও পুটিখালী গ্রামের অপর এক কৃষকের ২টি গরু মারা যায়। ঝড়ের কবলে পড়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০জন। এদের মধ্যে মোড়েলগঞ্জের দোনা গ্রামের আলামীন ফকির (৪৫), কামাল ফকির (৪৮), হোগলাবুনিয়া গ্রামে নিপা আক্তার (১১) ও পুটিখালী গ্রামে আব্দুল মান্নান কাজীকে (৫৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মোড়েলগঞ্জ ও রামপাল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দেড় শতাধিক ঘরবাড়িসহ বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময়ে দুই উপজেলার কুহারদাহ আরএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বলইবুনিয়ায় আলহেরা কিন্ডারগার্টেন, লক্ষনেরহাট কাসেমিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা, ঘষিয়াখালী তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেতকাশী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিন কালিকাবাড়ি গ্রামে ইয়াসিন আলী খানের জামে মসজিদ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও হোগলাবুনিয়া, পুটিখালী, চিংড়াখলী, পঞ্চকরণ, বলইবুনিয়া, দৈবজ্ঞহাটি তেলিগাতী এবং রামপাল উপজেলার বাইনতলা ও বাঁশতলি ইউনিয়নে কালবৈশেখি ঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউপি চেয়ারম্যানদের দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি পরিমান জানাতে বলা হযেছে।


(এসএকে/এস/জুন ১১,২০১৬)